শাশুড়ির পিঠে আস্ত ছুরি বসিয়ে দিল জামাই, ছ’ঘণ্টা ছুরিবিদ্ধ শাশুড়ি অপারেশনের পর স্থিতিশীল
জামাইয়ের হাতে ছুরিবিদ্ধ হলেন শাশুড়ি। প্রায় ছ’ঘণ্টা সেই ছুরি গেঁথে রইল তাঁর পিঠে। মালদহ মেডিকেল কলেজে এনে তা অপারেশন করে বের করলেন চিকিৎসকরা।
মালদহ, ১৪ ডিসেম্বর : জামাইয়ের হাতে ছুরিবিদ্ধ হলেন শাশুড়ি। প্রায় ছ'ঘণ্টা সেই ছুরি গেঁথে রইল তাঁর পিঠে। মালদহ মেডিকেল কলেজে এনে তা অপারেশন করে বের করলেন চিকিৎসকরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের ভুতনি থানার চণ্ডীতলা গ্রামে। ছ'ঘণ্টা ছুরিবিদ্ধ থাকার পরও বেঁচে থাকা নজিরবিহীন ঘটনা বলে দাবি চিকিৎসকদের।
'খুনি' জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শ্বশুরবাড়ির তরফে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক জামাই। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ছুরিবিদ্ধ মহিলার নাম মিনতি মণ্ডল। স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন জামাই কৃষ্ণ মণ্ডল। তখনই ছুরি বের করে শাশুড়ির পিঠে বসিয়ে দেয় সে।
বছর দু'য়েক আগে কবিতা মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণর। মালদহেরই রতনপুরের বাসিন্দা কৃষ্ণ। বিয়ের পর থেকেই নেশা করে স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাতে থাকে সে। বিয়ের সময় যথেষ্ট পণ দেওয়া সত্ত্বেও আরও টাকা আনার চাপ দিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে স্ত্রী কবিতাকে মারধর করতে থাকে সে। শেষপর্যন্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছিল কবিতা।
মা-বাবা-ভাইয়েরা
বুঝিয়ে
আবার
শ্বশুরবাড়িতে
দিয়ে
আসে
তাঁকে।
কিন্তু
তারপর
কৃষ্ণর
অত্যাচারের
সীমা
আরও
বেড়ে
যায়।
কিছুদিন
আগে
ফের
বাপের
বাড়ি
চলে
এসেছিল।
স্ত্রীকে
ফিরিয়ে
নিয়ে
যেতে
শ্বশুরবাড়ি
আসে
কৃষ্ণষ
কিন্তু
আর
মেয়েক
পাঠাতে
চায়নি
শ্বশুর
দুফু
মণ্ডল
বা
শাশুড়ি
মিনতি
মণ্ডল।
কবিতাও
স্বামীর
সঙ্গে
ফিরে
যেতে
রাজি
হননি।
এদিন
সকালে
শ্বশুর
ও
শ্যালকেরা
জমিতে
কাজে
গিয়েছিলেন।
তখনই
প্রবল
অশান্তি
শুরু
করে
কৃষ্ণ।
শাশুড়ির
সঙ্গে
বচসার
সময়
তাঁর
পিঠে
আস্ত
একটা
ছুরি
বসিয়ে
দেয়।
প্রথমে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় মিনতিদেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে তাঁর পিঠ থেকে বের করা হয় ছুরি। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।