সিপিএমের বিদায়বেলার মতো পরিস্থিতি এখন বাংলায়! অর্জুন চালে মাত তৃণমূল, রাজ্য পুলিশ
মণীশ (manish shukla) হত্যার তদন্ত নিয়ে অর্জুন সিং(arjun singh)-এর করা সাংবাদিক সম্মেলন সর্বশেষ চাপ বাড়াল শাসক তৃণমূল ও পুলিশ মহলে। দিন কয়েক আগে করা সাংবাদিক সম্মেলনে অর্জুন সিং একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দাবি করেছিলেন, তাঁকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করছে রাজ্য পুলিশ।

মণীশ খুনের তদন্ত নিয়ে চ্যাট 'ফাঁস' করেন অর্জুন
দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে রাজ্য পুলিশের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বলে দাবি করেন অর্জুন সিং। তাঁর অভিযোগ ছিল কথোপকথনেই প্রমাণিত তাঁকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেখানে পুলিশের এক আধিকারিককে মন্তব্য করতে দেখা যায়, শুনেছি চার্জশিটে অর্জুন সিং-এর নাম আছে। জবাববে অন্য আধিকারিকের মন্তব্য ওটা তো রাখতেই হবে। অর্জুন সিং-এর দাবি অনুযায়ী, ওই চ্যাট গ্রুপের সকল সদস্যই রাজ্যের ১৯৯৮ ব্যাচের আধিকারিক। এই গ্রুপের সদস্যদের কেউ সিআইডিতে, কেউ কেউ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছেন।

সিআইডিতে শোরগোল
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই চ্যাট অর্জুন সিং ফাঁস করতেই রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডিতে শোরগোল পড়ে যায়। শীর্ষ আধিকারিকরা জানতে চান কী ভাবে এই চ্যাট ফাঁস হল। তবে প্রাথমিক ভাবে আধিকারিকরা মনে করছেন এই গ্রুপেরই কোনও সদস্য এই চ্যাট ফাঁস করেছেন।

ভেঙে দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ
তবে অর্জুন সিং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখানোর পরেই, সেই গ্রুপটি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে তারপরেই অন্দরমহলে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে কে এই চ্যাট ফাঁস করেছেন, তা নিয়ে। বলা ভাল এব্যাপের কে অর্জুন সিং-এর চর হিসেবে কাজ করেছেন, তাকে শনাক্ত করণের চেষ্টা চলছে।

চ্যাট জাল, দাবি কয়েকজনের
অর্জুন সিং যে চ্যাট ফাঁস করেছেন বলে দাবি করেছেন, তাতে যেসব আধিকারিকদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা অবশ্য দাবি করেছেন, পুরোটাই জাল। জাল স্ক্রিনশট বানিয়ে দেখানো হয়েছে।

পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিজেপির
তবে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর সূত্রে খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের অনেক শীর্ষকর্তাই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। ফলে পুলিশের অন্দরমহলের খবর ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের কাছে।

এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ২০০৯-১০ সালে
তবে রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ২০০৯-১০ সালেও। ২০০৮-এ পঞ্চায়েত ভোটের পর ২০০৯-এ লোকসভা ভোটে রাজ্যে ধাক্কা খায় বামেরা। সেই সময় রাজ্যের ভবিষ্যৎ যে তৃণমূলের হাতে যাচ্ছে সেই সময়ে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন। অনেকেই বলেন এব্যাপারে পুলিশ কর্মীরা আগে বুঝতে পারেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময় রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বে ছিলেন আজকের বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।

বামেদের 'অনুসরণ' করছেন অনুব্রত! স্বীকারোক্তিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি