দেওর-বৌদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল পরিবার, তারপরের ঘটনায় শিউরে উঠবেন
স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দেওরের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ। তা জানাজানি হতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।
স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে দেওরের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ। তা জানাজানি হতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। একই শাড়িতে এক সঙ্গে দেওর ও বৌদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পোল্ট্রি ফার্ম থেকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কুন্দিপুর এলাকায়।
সাত বছর আগে বনগাঁর কুন্দিপুরের স্বপ্না সাঁতরার সঙ্গে বিয়ে হয় অনুপ বিশ্বাসের। তিনি বনগাঁরই গাঁড়াপোতার বাসিন্দা। স্বপ্না ও অনুপের এক কন্যা সন্তানও হয়। কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকতেন অনুপ। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বপ্নার সঙ্গে অনুপের মামাতো ভাই সমরেশ বিশ্বাস ওরফে বিজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এই সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যেতেই শুরু হয় বিবাদ-বিতণ্ডা। স্বপ্না ও বিজনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। তার জেরে স্বপ্না বাপের বাড়ি চলে যান। এর মধ্যে মামাশ্বশুর স্বপ্নাকে বুঝিয়ে বলেন, তাঁর ছেলের জীবন থেকে সরে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে যেন সুখে শান্তিতে সংসার করেন।
কিন্তু স্বপ্না ও বিজন কেউই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চায়নি। তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন এরপর। স্বপ্নার মা জানান, মেয়ে তাঁর পাশেই শুয়েছিলেন। কিন্তু সকালে উঠে দেখেন মেয়ে পাশে নেই। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় স্বপ্নাকে। স্বপ্নাকে খুঁজতে গিয়ে চক্ষু তরক গাছ। পোল্ট্রি ফার্মে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, একই শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে দেওর-বৌদি। এরপর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।