ফেসবুকের নেশাই কাল হল, দাদার বকুনিতে হাবড়ায় ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সিরিয়ালের নেশা ও হেডফোন নিয়ে ভাইবোনের দ্বন্দ্ব কেড়েছিল প্রাণ। এবার ফেসবুক করতে মানা করায় আত্মঘাতী হল বোন।
ফেসবুকের নেশা কাড়ল প্রাণ। দাদার বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মর্মান্তিক এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার মনসাবাড়িতে। দাদা ঘর থেকে বেরিয়ে যা্ওয়ার পরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম মাম্পি দাস। বয়স ১৬ বছর। কামিনীকুমার বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাম্পি।
শুক্রবার বিকেল দীর্ঘক্ষণ মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে ব্যস্ত ছিল মাম্পি। দাদা অনেকবার তাকে নিষেধ করেছিল, কিন্তু শোনেনি সে। শেষপর্যন্ত অবাধ্য হওয়ায় বোনকে বকাবকি করে দাদা। দাদার এই বকুনিতে অভিমান হয় বোনের। দাদা বেরিয়ে যেতেই সে ঘর বন্ধ করে দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়।
দাদা বাড়ি ফিরে বোনকে ডাকাডাকি করে সাড়া পায়নি। তখন দরজা ভেঙে দেখে বোনের দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পড়শিদের ডেকে বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যায় দাদা। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে মাম্পিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপর দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখানে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মাম্পির এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হতবাক স্কুলের সহপাঠী থেকে শিক্ষিকারা।
এমনই ভাই-বোনের দ্বন্দ্বে কিছুদিন আগে দুই দিদির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। সেক্ষেত্রে সিরিয়ালের নেশা ও হেডফোন নিয়ে দ্বন্দ্ব বেধেছিল ভাইবোনের। এবার ফেসবুক করতে মানা করায় আত্মঘাতী হল বোন।