শিশিরের নিশানায় কুণাল! বাড়ালেন বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা
শিশিরের নিশানায় কুণাল! বাড়ালেন বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা
তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থেকেই কাজ করে যেতে যান। এমনটাই মন্তব্য কাঁথির তৃণমূল সাংসদ (trinamool congress) শিশির অধিকারী (sisir adhikari)। দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে, তিনি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনিয যা নিয়েই শুরু হয়েছে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা।
দল ও সরকারি পদ থেকে সরানো হয়েছে
শিশির অধিকারীকে প্রথমে দিঘা-শঙ্কপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়। পরে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরানো হয়। দিঘা-শঙ্কপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রধানের পদে বসানো হয় পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিত অখিল গিরিকে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদে বসানো হয় সোমেন মহাপাত্রকে। প্রথমে প্রশাসনিক ও পরে রাজনৈতিক পদ থেকে সরিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারীর পরিবারের যাবতীয় ক্ষমতা খর্ব করা হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, যাঁরা তাঁকে সরিয়েছেন, মে মাসে তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দেবে জনগণ।
সরানো হয়েছিল সৌমেন্দু অধিকারীকেও
এর আগে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীকে। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর জেলার তমলুক-সহ একাধিক পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
দরজা খোলা
এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিশির অধিকারী বলেছেন, তাঁর সামনে সব দরজাই খোলা রয়েছে, সব অপশন খোলা রয়েছে। তিনি ৬৩ সাল থেকে রাজনীতি করছেন। ফলে তিনি রাজনীতিতেই থাকবেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইট, কাঠ, পাথর হয়ে তিনি থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ১৩০ বছর বাঁচবেন বলে দাবি করেছেন শিশির অধিকারী। তবে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ।
অনেকের থেকেই বেশি ফিট
এদিন শিশির অধিকারী দাবি করেছেন, তিনি অনেকের থেকে শারীরিকভাবে বেশি ফিট। প্রসঙ্গত তাঁকে প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অখিল গিরি মন্তব্য করেছিলেন শিশির অধিকারী একজন বরিষ্ঠ নেতা, তাঁকে তাঁরা সকলেই সম্মান করেন। কিন্তু ইদানিং স্বাস্থের কারণে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদে সময় দিতে পারছিলেন না। অন্যদিকে রাজনৈতিক পদ থেকে অপসারণের পরেও তৃণমূলের তরফে একই মন্তব্য করা হয়। বলা হয় তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হতে পারছেন না। করোনার পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে তাঁকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি।
কুণাল ঘোষকে নিশানা
এদিন শিশির অধিকারী তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও নিশানা করেন। তিনি অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ নোংরা বোক। দলের ক্ষতি করে যাচ্ছেন। কী করে তিনি মাসে ১৬ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন শিশির অধিকারী। এদিকে শিশির অধিকারীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, বাধ্যবাধকতা থেকেই এই মন্তব্য করছেন শিশির অধিকারী। তৃণমূল তাঁকে এখনও সম্মান করে বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তবে দুই ছেলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি কোনও বিবৃতি না দেওয়ায় দলের কর্মীরা দুঃখিত বলেও মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।