'শুভেন্দু বাড়িতে আলোচনা করেনি, আমাকে বলেনি বিজেপিতে যোগ দিতে', ছেলের তৃণমূল ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন শিশির
বৃহস্পতিবার থেকেই বঙ্গ রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে শিশির অধিকারী বনাম কুণাল ঘোষ ইস্যুতে। ক্রমাগত একই দলের নেতার মধ্যে এই সংঘাত নিয়ে রাজ্য রাজনীতির আঙিনা তেতে ওঠে। এদিকে, এই তরজার মাঝেই শুভেন্দু প্রসঙ্গেও এক টিভি চ্যানেল সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন শিশির অধিকারী।
অধিকারী পরিবার ও শুভেন্দু শিশির
এই প্রথম নয়, অধিকারী পরিবার সম্পর্কে এর আগেও তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করার পর তার কড়া জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কল্যাণের 'আলু বেচা' মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দু সাফ জবাবে ভরা সভায় বলেছিলেন, আমার পরিবারকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে 'অপনারা কি মেনে নেবেন?' এরপর একই স্টান্সে বাবা শিশিরও। তিনি এক টিভি চ্যানেল সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, 'শুভেন্দু আর আমার রাজনীতি আলাদা। কিন্তু পরিবার এক। আমার পরিবারকে আক্রমণ করলে আমি কিন্তু ছেড়ে দেব না।'
কাঁথি ও অধিকারী পরিবার
এর আগে অধিকারী গড় কাঁথিতে জনসভা করেন সৌগত ও ফিরহাদ। যে জনসভা হয় শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগাদানের পর পরই। সেখানে দাঁড়িয়ে সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। যে মন্তব্য শিশির, দিব্যেন্দুদের যে খুব একটা খুশি করেনি, তা তাঁদের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে বহু মিডিয়ায় খবরে আসে।
শুভেন্দু বাড়িতে আলোচনা করেনি
শিশির অধিকারী এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাফ ভাষায় জানিয়েছেন, 'শুভেন্দু ওই দল ছেড়েছে। তা নিয়ে বাইরে কী বলেছে, জানিনা। কিন্তু বাড়িতে এই নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি ও । '
'আমাকে একবারের জন্যও বলেনি বিজেপিতে যোগ দিতে '
কুণাল ঘোষ যখন শিশিরকে টার্গেট করে একের পর এক নিশানা দেগেছেন, তারপরই মুখ খুলেছেন অধিকারীগড়ের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। কুণালের খোঁচার নেপথ্যে যে শুভেন্দু ফ্যাক্টর ছিল, তা বলাই বাহুল্য। যার জবাব দিতে গিয়ে শিশির অধিকারী এই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমারেক একবারের জন্যও বলেনি বিজেপি যোগ দিতে। বরং আগে আমাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল, যখন আমি কংগ্রেস করতাম। এবার কিন্তু কিছু বলেনি। '