শিশির অধিকারী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা, একুশের পথ নির্ণয় যখন সংশয়ে
শিশির অধিকারী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা, একুশের পথ নির্ণয় যখন সংশয়ে
শুভেন্দুর দল ছাড়ার পর অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে তৃণমূল নেতাদের গালিগালাজ মানতে পারেননি অশীতিপর শিশিরবাবু। তিনি যেমন পুত্র শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যেত পারেন না। তাঁকে বাড়ির সম্পদ মনে করেন, তেমনই এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী মানেন। তাই এখন তিনি ঠিক করে উঠতে পারেননি কোন পথে যাবেন। তিনি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় জল্পনা বাড়ালেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও নেত্রী মানি
এখনও শিশির অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি। সে প্রসঙ্গে শিশিরের গলায় শোনা গেল শ্লেষ। তিনি বলেন জেলা সভাপতি কি না এখনও জানি না। কিছুই জানি না। আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেনি তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করতেন, তিনিও করেননি। কিন্তু এখনও আমি তাঁকে নেত্রী মানি।
তৃণমূলে ৮০ বছরের বেশি লোককে রাখে না
শিশির অধিকারী বলেন, এখন ৮১ চলছে। আগেকার পার্টিতে (কংগ্রেসে) বুড়ো লোকেরা থাকতে পারত, এখনকার পার্টিতে (তৃণমূলে) ৮০ বছরের বেশি লোককে তো রাখে না! আমি নেত্রীর সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও আমার পরিবারকে কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেছে। তাই বলছি, এই অপমানের জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেবে মেদিনীপুরের মানুষ।
অধিকারী পরিবারের একটা গুরুত্ব ছিল, থাকবেও
শিশির অধিকারী বলেন, শুভেন্দু অনেক কষ্টে-অভিমানে দল ছেড়েছে। তবে ওর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমি কিছু জানতাম না। আর এখন সৌম্যেন্দুকে যেভা্বে সরানো হল, তা গণতান্ত্রিক রীতি মেনে হয়নি। অথচ ও-ই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় সমর্থক। আর নন্দীগ্রাম মানুষের আন্দোলন, সেখানে অধিকারী পরিবারের একটা গুরুত্ব ছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আমার নেত্রী
শিশির অধিকারী দুঃখ করে বলেন, তৃণমূল আমাকে দিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বলাতে চেয়েছিল। সেটা কি কখনও সম্ভব? আমি ছেলের বিরুদ্ধে যাব? শুভেন্দু আমার পরিবারের বড় সম্পদ! আমার পরিবারের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতারা যা বলেছেন তা ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আমার নেত্রী। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কোথাও একটি কথাও বলিনি। তবে আমার পরিবারের অপমানের জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ।
ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ
শুভেন্দুর পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেলেন সৌম্যেন্দু অধিকারী। এখন বাকি থাকছেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁরা দু'জনেই সাংসদ। শিশিরবাবু আবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এবার কি তবে তাঁরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পথে পা বাড়াবেন? তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখে বললেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবেন মানুষ।
আমার পরিবারটাকে ভালোবাসে মেদিনীপুরের মানুষ
শিশির অধিকারী বলেন, যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেম অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটা নির্বাচিত পদও ছিল না। আমি দলে যোগ দেওয়ার পরই অবিভক্ত দলে দলে সকলে যোগ দিয়েছিল। এই অধিকারী পরিবারকেই বলছে মীরজাফর। এখনও আমার পরিবারটাকে ভালোবাসে মানুষ। প্রতিদিন ২০০০ ফোন আসে, ৫০০ জন আমার বাড়িতে আসে দেখা করতে।
শিশিরের নেত্রী মমতা, সম্পদ শুভেন্দু! মুখে বলছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবেন মানুষ