প্রচারে বেরিয়ে চিটিংবাজ শুনতে হল শিশিরকে! বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র অধিকারী গড়
ছেলের কথা শুনে অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়েছিলেন। জয় শ্রী রাম স্লোগানও দিয়েছিলেন। রবিবার দুপুরে এভাবেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। দলে যোগ দেওয়ার কার্যত ২৪ ঘন্টা পর বিজেপির হয়ে প্রচারে বেরোলেন শিশির অধিকারী।
ছেলের কথা শুনে অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়েছিলেন। জয় শ্রী রাম স্লোগানও দিয়েছিলেন। রবিবার দুপুরে এভাবেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। দলে যোগ দেওয়ার কার্যত ২৪ ঘন্টা পর বিজেপির হয়ে প্রচারে বেরোলেন শিশির অধিকারী।
আর প্রচারে বেরিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে পড়লে হল তাঁকে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।
চিটিংবাজ স্লোগান!
কাঁথি মানে অধিকারী গড়! বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রচারে নামেন শিশির অধিকারী। বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিনহার প্রচারে সন্ধেয় তিনি কাঁকগেছিয়ায় একটি সভায় যান। আর সেখানে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। শিশির অধিকারীকে ঘিরে ধরে চলে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ। চিটিংবাজ বলেও স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘন্টাখানেক আটকে রাখা হয়!
কাঁথির কাঁকগেছিয়ায় ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শিশির অধিকারীর গাড়ি ঘিরে ধরে লাগাতার তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। প্রায় ঘণ্টাখানের তাঁকে গাড়িতেই আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। যদিও শিশিরবাবুর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে রাখে। তাঁর চারপাশে কাউকে ঘেষতে দেয়নি। অন্যদিকে, বিজেপি সভাস্থলের কাছাকাছি চলে যান তৃণমূল সমর্থকরা। এনিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় বলে অভিযোগ।
মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা
প্রথমে হাতাহাতি। পরে বিজেপি এবং তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বিজেপি এবং তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিকে, এর প্রতিরোধ করতে নেমে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ৩ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা থানার পুলিশ। পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মৃদু লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, এই সব করে কোনও লাভ নেই। এসব সিচুয়েশন আমি বহু দেখেছি। এসব করে কিছুই হবে না বলে মন্তব্য সাংসদের।