২০১৭-র জানুয়ারি থেকেই অষ্টম শ্রেণির স্কুলপাঠ্যে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে সিঙ্গুর আন্দোলন
সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন স্কুলপাঠ্যে আসছে তা আগেই ঘোষণা হয়েছিল। এবার স্থির হয়ে গেল, অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে সিঙ্গুর আন্দোলনের।
কলকাতা, ৭ নভেম্বর : সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন স্কুলপাঠ্যে আসছে তা আগেই ঘোষণা হয়েছিল। এবার স্থির হয়ে গেল, অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে সিঙ্গুর আন্দোলনের। সিলেবাস কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন এ কথা।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই যাতে সিঙ্গুর আন্দোলনেক পাঠ্যসূচিতে আনা যায়, তার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি ছিলই। শুধু অপেক্ষা ছিল মান্যতা দেওয়ার। ইতিমধ্যেই স্কুলশিক্ষা সিলেবাস কমিটি পাঠ্যবইয়ের খসড়া তৈরি করে ফেলেছে৷ স্কুলশিক্ষা দফতরে তা পাঠানোর পর স্থির হয় অষ্টম শ্রেণির সিলেবাসেই আনা হচ্ছে সিঙ্গুর আন্দোলনকে। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার৷
প্রথমে স্থির হয়েছিল, সিঙ্গুর আন্দোলন নবম-দশম শ্রেণের সিলেবাসে আনা হবে৷ কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে তা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসেই অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অর্থাৎ আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকেই পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়ে যাচ্ছে সিঙ্গুর। শ্রমিক দিবস, কৃষক বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহের মতোই সিঙ্গুরের জমি রক্ষার আন্দোলনও একই আসনে বসতে চলেছে। আর এই বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সিঙ্গুরের কৃষকদের ঐতিহাসিক জয়ের পরই তা পাঠ্য বইয়ে তুলে ধরার জন্য সিলেবাস কমিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর৷ সিঙ্গুরের এই টানা দশ বছরের জমিরক্ষার লড়াইকে বিশ্বজনীন করে তুলতেও মুখ্যমন্ত্রী সচেষ্ট। তারই প্রথম পদক্ষেপ এই সিলেবাসে অন্তর্ভূক্তিকরণ। সারা দেশেই জমি আন্দোলনের মাইলফলক হিসাবে সিঙ্গুর ইতিমধ্যেই চিহ্নিত।
এবার তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়াস জারি রাখা হবে। ২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিডিও অফিসের সামনে আন্দোলন থেকে ২০১৬-র ৮ নভেম্বর জমিপ্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা- পুরো ঘটনাবৃত্তান্ত ইতিহাসবদ্ধ হয়েই বিশ্বজনীন হবে সিঙ্গুর। ঐতিহাসিকরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন।