মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত, শুক্রবার থেকেই সিঙ্গুরের জমি ফেরত প্রক্রিয়া শুরু
হাওড়া, ১৭ অক্টোবর : ২১ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই রেকর্ড সময়ের মধ্যে সিঙ্গুরের জমি চাষযোগ্য করে শুক্রবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর থেকেই ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। সোমবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বৃহস্পতিবার তিনি নিজে সিঙ্গুরে গিয়ে চাষযোগ্য করে তোলা সমস্ত জমি পরিদর্শন করবেন।পরদিন থেকেই চাষিদের হাতে জমিপ্রদান প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।
শুক্রবার অর্থমন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র উপস্থিত থাকবেন জমি প্রদান অনুষ্ঠানে। প্রকল্প এলাকায় শেড ভেঙে সিঙ্গুরে টাটা মোটর্সের অধিগৃহীত ৯৯৭ একরের মধ্যে ৮৭০ একর জমি চাষযোগ্য করে তোলা হয়েছে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এলাকা পরিদর্শনের পর এদিনই রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তারপরই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জমি ফেরতের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়।
দেশের শীর্ষ আদালত সিঙ্গুরের টাটা প্রকল্পের জমি ফেরত নিয়ে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল চার মাসের মধ্যে জমি ফেরত দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐতিহাসিক যুদ্ধ জিতে চটজলদি কৃষকদের হাতে জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন তড়িঘড়ি। শীর্ষ আদালতের সময়সীমার অন্তত এক মাস আগে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি।
প্রকল্প এলাকায় শেড ভাঙা নিয়ে খানিক চাপানউতোর সৃষ্টি হলেও, তা প্রতিবন্ধ হয়ে দাঁড়ায়নি। টাটাদের শেড ভেঙে নিতে মৌখিক বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বিলম্ব না করে সরকারি তরফেই শেড ভাঙার কাজ শুরু করে দেন। তখনই তিনি ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন ২১ অক্টোবর। সেই ২১ অক্টোবরই তিনি শুরু করছেন জমি ফেরতের কাজ। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে করতে বাকি জমিও চাষযোগ্য করে তোলা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
পুজো কাটলেই মুখ্যসচিবকে নিয়ে সিঙ্গুরে প্রকল্প এলাকার জমি চাষ্যযোগ্য করে তোলার কাজ খতিয়ে দেখতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সিঙ্গুরের ৯৯৭ একরের মধ্যে ৮৭০ একর জমি চাষযোগ্য করে তোলা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই মর্মে এদিনই বৈঠকে রিপোর্ট পেশ করেন পরিষদীয়মন্ত্রী। অবশেষে সিঙ্গুরবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন জমি ফেরতের দিনক্ষণ।