সংষ্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের সময়ের পুরনো সিন্দুক ভেঙে উদ্ধার দুষ্পাপ্র নথি
সংষ্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের সময়ের পুরনো সিন্দুক ভেঙে উদ্ধার দুষ্পাপ্র নথি
বিধবাদের সাহায্যে বরাদ্দ হওয়া অর্থের প্রমাণ দিল কলকাতা সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ধার হওয়া ২০০ বছরের পুরনো সিন্দুক। সংস্কৃত কলেজের গোডাউন থেকে ২০০ বছরের পুরোনো সিন্দুক উদ্ধারকে ঘিরে তোলপাড়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় খোলা গেলেও সেকেলে ইংল্যান্ডে তৈরি সিন্দুকটি খুলতে হিমসিম খেতে হয় সবাইকে। হিমশিম খেলেও সিন্দুক খুলে উদ্ধার হয় গুপ্ত রত্ন ধনের মত মহামূল্যবান সম্পদ।
জানা গিয়েছে, সিন্দুক থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু মূল্যবান মূল্যবান নথি। পাওয়া গিয়েছে মিলেছে সাতটি বন্ধ খাম। এছাড়াও রয়েছে ব্রিটিশ শাসনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাত ধরে তৈরি হওয়া বিধবা বিবাহের আইন সংক্রান্ত নথি, বিধবাদের জন্য তৈরি ফান্ডের নথি। শ্রী এ ভেঙ্কটরমন শাস্ত্রীর নামে ১৯৪৬ সালের ব্যাঙ্কের অর্থ জমার কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে। রুপোর পদক, চেক সহ বহু মূল্যবান সামগ্রী।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই কলেজে সংস্কারের কাজ চলাকালীন উদ্ধার হয় একজোড়া সিন্দুক। শুক্রবার সেই সিন্দুক ২টি খোলার চেষ্টা হয়। চার ঘণ্টার চেষ্টায় খোলা হয় সিন্দুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা ব্যানার্জি সংবাদ মাধ্যমের সামনে সে গুলোকে তুলে ধরেন। 'মুক্তকেশী দেবী উইডো ফান্ড' নামাঙ্কিত সেই নথিতে কোনও স্বামীহারা মহিলা কত অর্থ পেয়েছেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। শ্রীধরপুর, জেলা বর্ধমানের উল্লেখ রয়েছে সেখানে। তাতে ৮ টাকা করে দেওয়া হত বিধবাদের। মিলেছে প্রাপকের আঙুলের ছাপও। নথিটি ১৯৫৬ সালের বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
সংস্কৃতিতে প্রথম স্থানাধিকারীকে সংস্কৃত ও প্রেসিডেন্সি কলেজ মিলে গঙ্গামণি দেবী রুপোর পদকে সম্মানিত করা হত। এ এন মুখার্জি রুপোর পদকটি দেওয়া হত ইংরাজি ভাষার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপককে। একটি ১৯১৯ এবং অন্যটি পদকটি ১৯৬৫ সালের পদক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া রুপোর পদক তিনটি একটি গঙ্গামণি দেবী ও অন্যটি এ এন মুখার্জি রুপোর পদক। বাকি এনভেলপগুলি ভিসির অনুমতি নিয়ে খোলা হবে। এই সমস্ত নথির ঐতিহাসিক মূল্য ঠিক কতটা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।