সরষের মধ্যেই ভূত! ৪৮ ঘণ্টাতেই শিলিগুড়ির প্রধাননগরের ব্যবসায়ী দম্পতি খুনের কিনারা
খুনের প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শিলিগুড়ি আপার বাগডোগরার প্রধাননগরে দম্পতি খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর এক মহিলা কর্মী ও তার প্রেমিক সঞ্জয় তামাংকে। লুঠের উদ্দেশেই খুন।
খুনের প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শিলিগুড়ি আপার বাগডোগরার প্রধাননগরে দম্পতি খুনের কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর এক মহিলা কর্মী ও তার প্রেমিক সঞ্জয় তামাংকে। লুঠের উদ্দেশেই খুন বলে জানা গিয়েছে।
খুনের ঘটনার পরেই সন্দেহ জনক মনে হওয়ায় আটক করা হয়েছিল শিলিগুড়ির প্রধাননগরের নাম করা ক্যাটারিং ব্যবসায়ী অজয় কুশওয়ার মহিলা কর্মী সেওয়াকে। খুনের দিন সে ব্যবসায়ীর বাড়িতে অন্য একটি ঘরে ছিল। বাড়িতে বড় খুনের ঘটনা ঘটলেও সেওয়ার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল।
পাশেই শ্বশুর বাড়ি থাকলেও, কেউ কোনও কিছু টের পাননি বলে জানানোয় প্রথম থেকেই সন্দেহজনক মনে হয়েছিল সেওয়াকে। সেই মতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। জেরায় ভেঙে পড়ে সে। তার প্রেমিকই যে এই খুনের ঘটনায় জড়িত তাও জানায় সেওয়া। এরপর কালিম্পং থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় তামাংকে। মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীয় বাড়িতে ওই দিন রাতে পাঁচ লক্ষ টাকা ছিল। সে কথা আগে থেকেই জানত সেওয়া। সেই ভাবেই প্রেমিককে সব জানিয়েছিল সেওয়া। গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে অজয় কুশওয়ার ও তাঁর স্ত্রী মীনাকে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে। যদিও তাদের দুই শিশু সন্তান পাশেই ঘুমিয়ে ছিল।
স্বামীর ব্যবসায় সাহায্য করতেন স্ত্রী মীনা। মৃত ক্যাটারিং ব্যবসায়ীর কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ অজয় কুশওয়ার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন। পরে গভীর রাতে বাড়িতে ক্যাটারিং-এর জিনিসপত্র রাখতে দেখেন বাড়ির দরজা খোলা। এরপর ঘরে অজয় ও মীনার দেহ পড়ে রয়েছে। অজয় ও মীনা দুজনেরই মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
রবিবার সকালে এলাকায় যায় পুলিশ কুকুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই পুলিশ কুকুর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সিঙ্গিঝোড়া চা-বাগান কাছে গিয়ে থমকে যায়।
পুলিশের প্রথম থেকেই অনুমান ছিল , খুনে জড়িত রয়েছে পরিচিতরাই।