সিকিমে ঢুকে মোর্চার বৈঠকে হানা, কালিম্পংয়ের এসপি-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে গোপন খবর ছিল মোর্চা নেতৃত্ব সিকিমের নামচিতে একটি বৈঠকে বসছে। সেইমতো কালিম্পং জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গোপন অভিযান চালানো হয়।
তাদের রাজ্যে ঢুকে পুলিশ অভিযান চালানোয় সিকিম সরকার কাঠগড়ায় তুলল কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপারকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল সিকিম সরকার। অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে সিকিমে ঢুকে অভিযান চালিয়েছেন তিনি। সেই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে এক মোর্চা সমর্থকের।
এই অভিযানে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে ১৪ মোর্চা নেতাকে। তাঁদের ছ-জনকে মুক্তি দিতেও আর্জি জানিয়েছে সিকিম সরকার। কিন্তু রাজ্য পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতে অনুমতি ছাড়া তাঁরা ছাড়তে পারবে না ধৃত ছয় নেতাকে। রাজ্য সরকারের তরফেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে সিকিম সরকারকে।
রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে গোপন খবর ছিল মোর্চা নেতৃত্ব সিকিমের নামচিতে একটি বৈঠকে বসছে। সেইমতো কালিম্পং জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গোপন অভিযান চালানো হয়। মোর্চার বৈঠকে পুলিশি হানায় গ্রেফতার হন ১৪ জন মোর্চা নেতা। বিমল গুরুং ও রোশন গিরি সেই বৈঠক থেকে কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন।
এই অভিযানে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতেই একজনের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তি মোর্চার এক কাউন্সিলরের গাড়ির চালক। এরপরই কালিম্পং পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সিকিমের বিরুদ্ধে মোর্চার অনৈতিক কাজে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ, সিকিম রাষ্ট্রদ্রোহীদের আশ্রয় দিয়েছে।