নাগরিকত্ব আইন রদে শাহকে হুঁশিয়ারি! সিদ্দিকুল্লার বাংলাদেশ সফরের ভিসা নামঞ্জুর
মমতার সরকারের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী হুমকি দিয়েছিলেন সিএএ অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে
মমতার সরকারের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী হুমকি দিয়েছিলেন সিএএ অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে দেবেন না। এবার সেই সিদ্দিকুল্লাকেই বাংলাদেশ সফরের জন্য ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হল।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ১০ দিন আগে বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর টিকিট আগে থেকেই বুকিং করা ছিল। বুধবার তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁর ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে ভিসা প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করা হয়নি। বাংলাদেশ সরকার মন্ত্রীর 'প্রযুক্তিগত কারণ' উল্লেখ করে ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সিএএর বিরুদ্ধে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, প্রয়োজনে শাহকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেছিলেন, "সিএএ প্রত্যাহার না করা হলে আমরা তাকে থামাতে লক্ষ লোকের জমায়েত করতে পারি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জনগণের উপর একের পর এক অ্যাজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মোদী-শাহের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, তারা এ ব্যাপারে আলোচনায় বিশ্বাসী নয়। জমিয়তে এই আইনটি মেনে নেবে না।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর এই বক্তব্যের পরে বিজেপি অভিযোগ করে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, ভারতের সংবিধান নয়, শরিয়া আইন এই রাজ্যে কার্যকর ছিল। মন্ত্রীর হুমকির পর এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অভিযোগ, "পশ্চিমবঙ্গে শরিয়া আইন কার্যকর রয়েছে। এই রাজ্যে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর করা হচ্ছে না। রাজ্যটি পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে উঠছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে তিনি আরও বলেন, তিনি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে অপসারণের দাবি জানাবেন রাজ্যপালের কাছে। বিজেপি সম্প্রতি বলেছিল যে, তাঁর দল শরণার্থী হয়ে রাজ্যে আগত সমস্ত বাঙালি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেবে।