বরাবরের ফার্স্ট এবার মাধ্যমিকে হয়ে গেল সেকেন্ড, মাধ্যমিকে শীর্ষ স্থান পেল না শীর্ষেন্দু
কোনওদিন ক্লাসে সে ফার্স্ট ছেড়ে সেকেন্ড হয়নি। এবারই তার অন্যথা হল। মাধ্যমিকে সেকেন্ড হয়ে গেল বরাবরের প্রথম শীর্ষেন্দু সাহা।
কোনওদিন ক্লাসে সে ফার্স্ট ছেড়ে সেকেন্ড হয়নি। এবারই তার অন্যথা হল। মাধ্যমিকে সেকেন্ড হয়ে গেল বরাবরের প্রথম শীর্ষেন্দু সাহা। এক নম্বরের জন্য তার প্রথম হওয়ার রেকর্ড অক্ষত রাখা হল না। ৬৮৮ নম্বর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের সাতগাছিয়া হাইস্কুলের ছাত্র শীর্ষেন্দুর সেকেন্ড হল মাধ্যমিকে। প্রথম কোচবিহারের সঞ্জীবনীর থেকে মাত্র এক নম্বর কম পেল সে।
তার এই ফলে শীর্ষেন্দু মনে একটু মন কেমন করা থাকলেও কোনও আক্ষেপ নেই তার। বেজায় খুশি গোটা পরিবার। শীর্ষেন্দুর ঠাকুরমা তো আনন্দে আটখানা। গোটা রাজ্যের মধ্যে তাঁর নাতি সেকেন্ড হয়েছে। আনন্দ ধরে রাখতে পারছে না সাহা পরিবার। কিন্তু শীর্ষেন্দুর এই সাফল্যের চাবিকাঠি কী? শীর্ষেন্দু জানায়, তার এই সাফল্যের পিছনে সকলের অবদান রয়েছে।
[আরও পড়ুন:বাবাই তার প্রেরণা, মা এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহস, ডাক্তার হতে চায় মাধ্যমিকে পঞ্চম অনীক ]
পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে শিক্ষক, বন্ধুবান্ধব- সবার। দিনে মাত্র চার-পাঁচ ঘণ্টা পড়ত সে। আর তাতেই এই রেজাল্ট করেছে। তারপর শুধু পড়াশোনাই নয়, ক্রিকেট-ফুটবল আর গল্পের বইয়ের নেশাও রয়েছে তার। বিকেলে একবার মাঠে যাওয়া চাই-ই। সেসব করেও পড়াশোনার প্রতি তার ছিল অসম্ভভ জেদ। কম সময় পড়ত, কিন্তু ওইসময় মন দিয়ে পড়ত।
[আরও পড়ুন:পরের বছর মাধ্যমিক এগিয়ে এল ১ মাস, জেনে নিন কবে কোন বিষয়ের পরীক্ষা]
পড়ার বাইরে অন্য কোনও চিন্তা তার থাকত না। তাই বেশিক্ষণ সময় দেওয়ার কোনও প্রয়োজন পড়েনি। মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হওয়ার পর শীর্ষেন্দু জানায় এখনও উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি সে। উচ্চমাধ্যমিকের পর সে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় শীর্ষেন্দু।