প্রথমবার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন, কাজলকে হারিয়ে শোকবার্তায় কী বললেন শীলভদ্র
প্রথমবার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন, কাজলকে হারিয়ে শোকবার্তায় কী বললেন শীলভদ্র
ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই চির বিদায় নিলেন খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজন সিনহা। ২২ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তার আগের দিনই কাজল সিনহা করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। আর ভোটের পর চারদিন কাটতে না কাটতেই ইহজগতের খেলা শেষ করলেন তৃণমূল প্রার্থী।
সম্পর্ক ছিল রাজনীতির ঊর্ধ্বে, শোকে মুহ্যমান শীলভদ্র
এবার কাজল সিনহার সঙ্গে ভোট ময়দানে লড়াই ছিল একদা তাঁরই সতীর্থ শীলভদ্র দত্তের। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে তিনি খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। কাজলের মৃত্যুর পর শীলভদ্র দত্ত কার্যত শোকে মুহ্যমান হলেন। নিজেদের সম্পর্ককে রাজনীতির ঊর্ধ্বে তুলে ধরে শোক বার্তা দিলেন।
লড়াই কোনওদিন ব্যক্তিগত সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি
খড়দহের নির্বাচনে কাজলের প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত বলেন, এবার ভোটে আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু সেই লড়াই কোনওদিন ব্যক্তিগত সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। কাজলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ৩০ বছরেরও বেশি। রাজনীতি ছাড়িয়ে তা পারিবারিক সম্পর্কে কবে পরিণত হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি।
মুখোমুখি লড়াইয়েও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা
শীলভদ্র দত্ত বলেন, আমরা ব্যক্তিগত স্তরে একে অপরের বন্ধুই ছিলাম। এমনকী এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে দুজন মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু একে অপরের বিরুদ্ধে কেউ কাদা ছিটোইনি। দুজনের রাজনীতির পথ আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েই গিয়েছিল। ওঁর এভাবে চলে যাওয়ায় আপনজন হারানোর বেদনা পাচ্ছি।
তৃণমূলের অক্সিজেন কম পড়েছে, দায় বিজেপির নয়! অভিযোগ নিয়ে মমতাকে নিশানা দিলীপের
প্রথমবার মুখোমুখি, ফলটা দেখে গেলি না কাজল
শীলভদ্র বলেন, কাজলের মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছি না। তাই কী বলব, এই প্রথমবার আমরা মুখোমুখি হয়েছিলাম। রাজনীতি নীতির লড়াই, নীতির যুদ্ধকে সামনে রেখেই আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু ফলটা দেখে গেলি না কাজল। ফল যাই হোক না কেন আমরা তো একসঙ্গেই থাকতাম। চোখের কোণে জল লুকোতে পারলেন না বন্ধু শীলভদ্র।