‘দেশের ভবিষ্যৎ’ মমতার হাত শক্ত করতে বাংলায় প্রার্থী হয়েছেন ‘বহিরাগত’ শত্রঘ্ন সিনহা
‘বিহারীবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহা এবার বাংলা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপি থেকে কংগ্রেস, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসে তিনি দিদির হাত শক্ত করতে চান।
'বিহারীবাবু' শত্রুঘ্ন সিনহা এবার বাংলা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপি থেকে কংগ্রেস, কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসে তিনি দিদির হাত শক্ত করতে চান। আসানসোলে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করার পর বাংলার পা দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শত্রুঘ্ন। তিনি সাফ জানালেন, মমতার হাতেই এখন দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাঁর হাত শক্ত করতেই তিনি এসেছেন।
এবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে দেশের ভবিষ্যৎ বলে ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, দেশের কোণে কোণে খেলা হবে স্লোগানকে পৌঁছে দিতে হবে। এবার তৃণমূলের জার্সিতে তাঁর লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে।
সোমবার বাংলার পা দেওয়ার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। স্বভাবতই প্রশ্ন এসেছিল, তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিল কি না। সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী। আর বলেছেন দেশের ভবিষ্যতের কথা। তাই তাঁর বাংলায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে।
অটলবিহারী বাজপেয়ি মন্ত্রিসভার সদস্য তিনি। দু-দু'বার তিনি লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। দু'বার রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন। মোদী-শাহের আমলে তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হয়। তিনি বিজেপি ছেড়ে দেন। ২০১৯-এর লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। বিহার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছে পরাজিত হন।
তারপর থেকে তিনি রাজনীতিতে কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। শনিবার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই ফের তিনি সক্রিয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় পা রেখেছেন তিনি। এবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রথমবার তৃণমূলের নাম খোদাই কররা দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তাঁকে বহিরাগত কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আর তার জবাবও তিনি দিয়েছেন বাংলার পা দিয়েই।
বহিরাগ খোঁচার উত্তরে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, আমার জন্ম বিহারে, কিন্তু বাংলার প্রতি আমি দুর্বল। বাংলায় একাধিক সিনেমা করেছি আমি। অন্তর্জলি যাত্রার মতো জাতীয় পুরস্কার জয়ী সিনেমার অংশও ছিলাম। আর আসানসোলে তো শুধু বাঙালি নয়, বিহার-ঝাড়খণ্ডসহ অন্যান্য রাজ্যের মানুষও বাস করেন।
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, বারণাসী থেকে যদি গুজরাটি নরেন্দ্র মোদী লড়তে পারেন, বাংলা থেকে বিহারী শত্রুঘ্ন সিনহা লড়তে পারেন না। আমাকে যদি বাংলার বহিরাগত বলা হয়, তাহলে মোদীজিও বারণসীতে বহিরাগত। তিনি তাহলে কেন বারাণসী থেকে লড়লেন। তিনি বলেন, ২০২১-এ বিজেপির বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল। তিনি মমতার লড়াইয়ের অংশ হতে পেরে গর্বিত।