দিল্লি যাত্রার আগে ছাড়লেন প্রশাসনিক পদ! দলকে বললে সমস্যার সমাধান হয় না, বিস্ফোরক শতাব্দী
শনিবার সকালে দিল্লি যাচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল (trinamool congress) সাংসদ শতাব্দী রায় (shatabdi roy) । তবে তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (amit shah) সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন তিনি। একইসঙ্গে দলে থেকে কাজ করতে না পারার বিস্ফোরক অভিযোগও তিনি করেছেন। এদিন তিনি তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন।

অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা
ফেসবুক পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করে দিল্লি যাত্রার কথা জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে সেখানে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন কিনা, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। তিনি বলেছেন, অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলাটা বিরাট কোনও ব্যাপার নয়। একজন সাংসদ একজন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেই পারেন, মন্তব্য করেছেন শতাব্দী রায়। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনই নয়। তিনি বলেছেন, ধান্দাবাজির জন্য কেউ দল ছাড়ছে না।

দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শতাব্দী
ফেসবুকে ফ্যান পেজে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন শতাব্দী রায়। এরপর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোক্ষ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন, এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না।য এব্যাপারে মানুষ যেন ভুল না বোঝেন, মন্তব্য করেছেন তিনি। শতাব্দী আরও বলেছেন, দলকে বললে সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। দলের কাছে বাড়তি কিছু চাওয়ার নেই। নেই ব্যক্তিগত আক্রমণও। দলে মর্যাদার দাবি করেছেন তিনি। শতাব্দী বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে, তাঁকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু দল যদি বলে দেয়, তাঁকে কোনও প্রশ্ন করা হবে না, তাহলে অন্য কথা।

তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফা
এদিকে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শতাব্দী রায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি শুধু এবারই নয়, এর আগেও চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শতাব্দী। তাঁর অভিযোগ, ওই পর্ষদে কোনও মতামত কিংবা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। কোনও বিষয় তোলা হলে, তা আলোচনা পর্যন্তও পৌঁছয় না। তবে সমস্যার কথা অনুব্রত মণ্ডলকে জানিয়েছেন কিনা, এব্যাপারে তিনি বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি।

বোলপুরে রোড শোতেও ছিলেন
দিন কয়েক আগে বোলপুরের রোড শোতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা গিয়েছিল শতাব্দী রায়কে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বীরভূমের সাংসদ বলেছেন, দিদির জন্যই রাজনীতিতে। তিনি ডেকেছিলেন বলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু দলের একাংশের প্রতি অনুযোগ করে তিনি বলেছেন, যেখানে তাঁকে ডাকাই হয় না, সেখানে তিনি কেন যাবেন।

রাশ আলগা হতেই বেরোচ্ছেন সকলে
তবে শতাব্দী রায়কে নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, তারা সবাইকেই স্বাগত জানিয়ে রেখেছেন। পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের নেতাদের এক জায়গায় করে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, রাশ আলগা হতেই সবাই বেরিয়ে আসছেন। তৃণমূল পার্টিটাই আর থাকবে না, কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।

মমতার পরিবারে রাজনৈতিক ভাঙন! পদ্ম ফোটানোর সময় ও স্থান নির্দিষ্ট