করোনা থাবায় ম্লান শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব, আবাসিকরা ছাড়া আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষিদ্ধ
বসন্তোৎসবের মেজাজ ও চেনা ছবি উধাও শান্তিনিকেতন এলাকায় । অন্য বছর এই দিনে আবীরের রঙে রঙিন হয় শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর।
বসন্তোৎসবের মেজাজ ও চেনা ছবি উধাও শান্তিনিকেতন এলাকায় । অন্য বছর এই দিনে আবীরের রঙে রঙিন হয় শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর। হাজার হাজার লোকের ভিড়। কোলাহলে মুখর । উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারনের জায়গা থাকে না । এই বার এখানে নেই চেনা ছবি ও ভিড়। বসন্তোৎবের দিন ফাঁকা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর।
এই বার করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বাতিল করা হয়েছে বসন্ত উত্সব অনুষ্ঠান। শুধু তাই নয়, বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ এই বার বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরেও রঙ ও আবির খেলা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রম প্রাঙ্গনের ভিতরে আবাসিক ছাত্র ছাত্রী ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না ।
তাই এদিন যে সব রাস্তা ভরে যায় পর্যটকদের ভিড়ে, আবীর ও গানে মুখরিত হয়ে থাকে যে এলাকা সেই এলাকা ও রাস্তা এবার শুনশান । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এলাকার লোকজন থেকে ব্যবসায়ী সকলের এক কথা, এমন চিত্র কোনও দিন দেখেন নি তারা । এদিন ছাত্র ছাত্রীরা ছিল কার্যত হোস্টেল বন্দি । বসন্তোৎসবের অনুষ্ঠান না হওয়ায় হতাশ ছাত্র ছাত্রীরা শুধু স্মৃতি রোমন্থন করে এই বছর কীভাবে তারা প্রস্তুতি নিয়েছিল তা নিয়েই আলোচনা করেছে
বসন্ত উত্সব অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হলেও বেশ কিছু পর্যটক এসেছেন শান্তিনিকেতন। তারা ভিড় জমান খোয়াই, সোনাঝুরি এলাকায় । অনেক হোটেলে ও রিসর্টে অবশ্য বিশ্বভারতীর আদলে হয়েছে বসন্তোৎসব । তবে সবার আকর্ষণ থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে । এইবার সেই অনুষ্ঠান বাতিল করাহলেও প্রশাসন কিন্তু সতর্ক আছে । বাইরের কেউ যাতে আশ্রম প্রাঙ্গণে ঢুকতে না পারে তার জন্য শান্তিনিকেতন প্রবেশের রাস্তায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ঢোকার মুখে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি বোলপুর, স্টেশন, জামবনি, কালীসায়র সহ নানা জায়গা তে যানজট এড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।