বিজেপির গ্রুপ ছাড়লেন এবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বাড়ছে মতুয়া-গড়ে ভাঙন জল্পনা
বিজেপি বিধায়কদের পর এবার বিদ্রোহী খোদ সাংসদ-মন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর। মতুয়া-গড়ে সংকট বাড়ল বিজেপির। মতুয়া-গড়ে বিজেপির চার বিধায়ক বিদ্রোহ প্রকাশ করেছিলেন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে নাম তুলে।
বিজেপি বিধায়কদের পর এবার বিদ্রোহী খোদ সাংসদ-মন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর। মতুয়া-গড়ে সংকট বাড়ল বিজেপির। মতুয়া-গড়ে বিজেপির চার বিধায়ক বিদ্রোহ প্রকাশ করেছিলেন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে নাম তুলে। এবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও একই পন্থা অবলম্বন করলেন। সেই সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়ে গেল, তবে কি এবার বিজেপি ছাড়তে চলেছেন তিনি?
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন শান্তনু ঠাকুর?
এখন প্রশ্ন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন শান্তনু ঠাকুর? কেন তিনি বেরিয়ে গেলেন বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপগুলি থেকে। শান্তনু জানান, কেন বেরিয়ে গেলাম তা এখনই জানাব না। আগামীদিনে বিস্তারিত জানাব হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ। শান্তনু এটুকু বলে ক্ষান্ত হন। আর বিজেপি নেতৃত্ব এ ব্যাপারে স্পিকটি নট।
বিজেপিতে কেন জারি রইল শান্তনুদের বিদ্রোহ?
প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে চার বিধায়কের বিদ্রোহের পর যে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সময় চেয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিলেন, সেই আলোচনা কি তবে ফলপ্রসূ হয়নি? জেপি নাড্ডা তো বলেছিলেন, প্রয়োজনে ফের রদবদল হবে, মতুয়াদের প্রাধান্য দেবে দল। তারপরও কেন জারি রইল শান্তনুদের বিদ্রোহ?
বাবুল সুপ্রিয়র পর কি শান্তনু ঠাকুর?
শুধু এখানেই শেষ নয় প্রশ্নের। আরও প্রশ্ন উঠেছে শান্তনু ঠাকুরের এই বিদ্রোহে। প্রশ্ন উঠেছে, বাবুল সুপ্রিয়র পর কি আরও এক সাংসদ বিজেপি ছাড়তে চলেছেন? মতুয়া-গড়ে বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদ বা মন্ত্রীদের এই বিদ্রোহ কেন? কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে নতুন রাজ্য কমিটি হয়েছে। তারপর ৩০ জেলা সভাপতিকে বদল করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব। তাঁর অপসারণের পর থেকেই বিজেপির মতুয়া বিধায়ক ও সাংসদরা ক্ষুদ্ধ।
মতুয়া মহলে নড়বড়ে হচ্ছে বিজেপির সংগঠন
ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্যতম সদস্য শান্তনু ঠাকুরের দাদা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর আগেই সরে গিয়েছিলেন বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে। তাঁর সঙ্গে আরও বনগাঁর আরও তিন বিধায়ক ও দক্ষিণ রানাঘাটের বিধায়কও বিদ্রোহী হয়েছিলেন। তখন শান্তনু দৌত্যের ভূমিকা নিয়েছিলেন। এবার খোদ শান্তনুই ছেড়ে দিলেন বিজেপির সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ।
ভাঙন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপিতে
মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের এই সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবির অস্বস্তিতে পড়েছে। মতুয়াদের অভিযোগ ছিল, ভোটের সময় তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটের পর আর তাঁদের কথা মনে রাখেনি বিজেপি। বিজেপির কোনও সাংগঠনিক পদে তাঁদের কাউকে বসানো হয়নি। মতুয়াদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সেই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, মতুয়ারা এখন থেকে আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না। তারপর একে একে বিজেপির গ্রুপ ছাড়ার তোড়জোড় শুরু হওয়ায় ভাঙন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপিতে।
শান্তনু বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর
বিজেপির পাঁচ বিধায়ক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পরই মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর তৃণমূলে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুরকে। যদিও তিনি বলেছিলেন, তাঁদের যোগদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এদিন শান্তনু বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর সেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।