বঙ্গ বিজেপিতে অশান্তির কালো মেঘ, অশনি সংকেত দিলেন বিদ্রোহী শান্তনু ঠাকুররা
বঙ্গ বিজেপিতে ফের ঝড় উঠেছে। অশান্তির কালো মেঘ গ্রাস করেছে বিজেপিকে। বিজেপির বেসুরো নেতারা সম্মিলিত হয়ে এক জায়গায় বৈঠক করে বর্তমান নেতৃত্বের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল।
বঙ্গ বিজেপিতে ফের ঝড় উঠেছে। অশান্তির কালো মেঘ গ্রাস করেছে বিজেপিকে। বিজেপির বেসুরো নেতারা সম্মিলিত হয়ে এক জায়গায় বৈঠক করে বর্তমান নেতৃত্বের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল। শুধু বৈঠক করেই ক্ষান্ত নন বিদ্রোহী নেতারা, তারা সমান্তরাল কমিটি গড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলায়।
নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয় মতুয়া গড় থেকে। মতুয়া গড়ের পাঁচজন বিধায়ক বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে হুঁশিয়ারি দেন নেতৃত্বকে। এরপর খোদ মতুয়াদের সঙ্ঘাধিপতি তথা বিজেপির সাংসদ-মন্ত্রী বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন।
তিনি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েই থেমে থাকেননি। বিজেপির বিদ্রোহী সমস্ত নেতাদের একত্রিত করে বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসুরাও শান্তনু ঠাকুরদের সঙ্গে সম্মিলিত হন। এদিন তাঁরা কলকাতায় প্রকাশ্যেই এক বৈঠক করেন।
বিজেপির বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে এই বৈঠকের পর শান্তনু ঠাকুর বলেন, ঊর্ধ্বতন নেতাদের ভুল বার্তা দিয়ে বাংলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বিজেপির অস্তিত্বের পক্ষে অশনি সংকেত। ৯০ শতাংশকে বাদ রেখে কমিটি করা হয়েছে। আমরা তার বিরোধিতা করছি। সেজন্যই আমরা সম্মিলিত হয়েছি। তাই ৯০ শতাংশ নেতৃত্বকে নিয়ে সমান্তরাল কমিটি গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।
শান্তনু ঠাকুর বলেন, সংগঠনের একজন নেতার জন্য গোটা বিজেপি ধ্বংস হয়ে যাবে, তা হতে দেব না। একজন ব্যক্তি টোটাল কমিটিকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। সেজন্য উপরের নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে অভিজ্ঞদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিটি থেকে। আমরা চাই না পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতন ঘটুক। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর হাত মজবুত করতে।
শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাদের সৎ উদ্দ্যেশ্য নেই। এই কমিটিতে বিজেপির কোনও উন্নতি হবে না। অন্য দলের সঙ্গে যোগযোগ রেখে চলছে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব। অন্য দলকে সুবিধা দিতেই তিনি এসব করছেন। যারা বিজেপিকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে গেল তাঁদের কোনও স্থান দেওয়া হয়নি। তেমনই ৯০ শতাংশ মানুষকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
শান্তনু ঠাকুর নাম না করলেও সরাসরি সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সেই নেতার অপসারণ দাবি করেন। তিনি বলেন, ওই নেতার কোনও গুরুত্ব নেই। আমরা তার অপসারণ চাই। তিনি আবার দাবি করেন, এসব বাংলার শাসকদলের চক্রান্তও হতে পারে। সেজন্যই শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। সঠিক সময় বোম ব্লাস্ট করব বলেও জানান শান্তনু ঠাকুর।