বাদ যাওয়া নেতাদের অন্য কাজে লাগাবে দল! মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকব, বললেন শান্তনু
বাদ যাওয়া নেতাদের অন্য কাজে লাগাবে দল! মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকব, বললেন শান্তনু
প্রশ্নের মুখে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ফের একবার প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, অতিন ঘোষ, দেবাশিস কুমার এবং দেবব্রত মজুমদার। এছাড়াও পুরভোটের প্রার্থী তালিকাতে নাম থাকছে আরও দুই নতুন বিধায়কের। দিনভর কালীঘাটে চলা বৈঠক শেষে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার প্রার্থী তালিকাতে নাম থাকছে না রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের। লোকসভার সাংসদ মালা রায়ের নাম থাকলেও তাঁর নাম থাকছে না। কিন্তু তা নিয়ে শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা।
তবে এই প্রসঙ্গে শান্তনু সেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যা দায়িত্ব দেবে তা মাথা পেতে নেব। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলেন তাহলে সারা রাত রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকব, মন্তব্য রাজ্য সভার সাংসদের। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, আমার এক ইঞ্চিও খারাপ লাগছে না। আগে যে ভাবে কাজ করেছি, তার চেয়েও বেশি কাজ করব এ বার থেকে।''
তবে তিনি প্রার্থী না হলেও তাঁর কাঁধে এই মুহূর্তে অনেক বড় গুরু দায়িত্ব রয়েছে। এই মুহূর্তে ত্রিপুরাতে পাখির চোখ তৃণমূলের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে টিম বানিয়েছেন সেখানকার জন্যে সেই টিমে রয়েছেন শান্তনুও। এমনটাই খবর। সেই কারনেই সম্ভবত তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তবে সুত্রের খবর, টিকিট পাচ্ছেন শান্তনু সেনের স্ত্রী।
অন্যদিকে শুধু শান্তনুই নয়, এবার নির্বাচনে ৩৯ জনকে আর প্রার্থী করা হয়নি। সুদীপের পাশে বসে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''যাঁদের প্রার্থী করা হয়নি, তাঁদের দল অন্য কাজে লাগাবে বলে ঠিক করেছে।'' রাজনৈতিকমহলের মতে, টিকিট না পাওয়ার পরেই হয়তো বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে। আর সেদিকে তাকিয়েই আগাম বার্তা দিয়ে রাখলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের। শুধু তাই নয়, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, এবার পুর নির্বাচনের মোট প্রার্থীর ৪৫ শতাংশ মহিলা। আর পুরুষ প্রার্থী ৫৫ শতাংশ। এ ছাড়াও তালিকায় ২৩ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে খ্রিস্টান দু'জন। ১৯ জন তফসিলি প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও বেশ কিছু নতুন মুখও দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব।
তবে এদিন প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুত্রের খবর, গত কয়েকমাস ধরে ওয়ার্ড ভিত্তিক সার্ভে করেন প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক। প্রত্যেক কাউন্সিলারের কাজের উপর বিশ্লেষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলারের সঙ্গে মানুষের জনসংযোগ সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখে একটা রিপোর্ট তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, সাংসদ, বিধায়কদের কাছ থেকেও কাউন্সিলারদের কাজের খতিয়ান নেওয়া হয়। সেই সমস্ত তথ্য নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এমনটাই সুত্রের খবর। এই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর ছাড়াও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। দীর্ঘ আলোচনার পরেই ১৪৪টি আসনে চূড়ান্ত হয় প্রার্থী তালিকা।
তবে ফিরহাদ, অতিনদের প্রার্থী করা নিয়ে রাজনৈতিকমহলের মতে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিজ্ঞ এবং প্রবীণ নেতাদের উপরেই ভরসা রাখলেন।