শাহদাত-ই-আল-হিকমা, বাংলায় এই সংগঠনের আড়ালেই জঙ্গিবাদের শিকড় ছড়াচ্ছে!
কলকাতা, ১৩ অক্টোবর : শাহদাত-ই-আল-হিকমা। নামটার সঙ্গে সাধারণ মানুষ খুব একটা পরিচিত নয়। পরিচিত ছিলেন না গোয়েন্দারাও। তবে কিছুদিন আগে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ও তার পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু হলে ফের তদন্তে গতি বাড়ে। তখনই উঠে এসেছে এমন বেশ কয়েকটি নাম। [ঢাকায় গুলশন জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র 'মডিফাই' হয়েছিল ভারতে]
ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার জঙ্গি দমনে একে অপরকে সাহায্যের আশ্বাস যেমন দিয়েছে, তেমনই সীমান্তে সন্ত্রাস ও বেআইনি কাজকর্ম বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর দুই দেশ। [জেএমবি জঙ্গিরা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ঘাঁটি গাড়ছে দক্ষিণ ভারতে!]
ভারতের তদন্তকারীরা খাগড়াগড় কাণ্ড, মুসাকে গ্রেফতার সহ একাধিক তদন্ত চালাতে গিয়ে এই নতুন জঙ্গিগোষ্ঠীর সন্ধান পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে জন্ম শাহদাত-ই-আল-হিকমার। সূত্রের খবর, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের টাকায় এই দলটি ডালপালা মেলেছে। [নিজেদের সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলছে বাংলাদেশ]
গোড়াপত্তনের কিছুমাস পরে বাংলাদেশ সরকার এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এতদিন পরে খাগড়াগড় সহ রাজ্যে নাশকতার নানা তদন্ত চালাতে গিয়ে ফের এর নামটি উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের কানে। খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত আনওয়ার হুসেনকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, শাহদাত-ই-আল-হিকমা সংগঠনের আড়ালেই তারা কাজকর্ম করত। [বাংলায় আইএসের 'স্লিপার সেল' হিসাবে কাজ করছে জামাত জঙ্গিরা]
গোয়েন্দারাই জানাচ্ছেন, ২০০৩ সালের পর সংগঠনটি অকেজো হয়ে যায়। তবে এর কাজ পুরোপুরি থেমে যায়নি। এর কয়েকজন সদস্য এখনও বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, এই ধরনের অনেকগুলি ছোট জঙ্গি সংগঠন জেএমবি বা আইএসের মতো বড় সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসের বীজ বপনের চেষ্টা করছে।
জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। গুলশনে রেস্তরাঁয় হামলার ঘটনাও তারাই ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে তারা। গোয়েন্দাদের ধারণা, শাহদাত-ই-আল-হিকমার মতো গোষ্ঠীকে জেএমবি ব্যবহার করছে সন্ত্রাসকে আরও গভীরে ছড়িয়ে দিতে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা শাহদাত-ই-আল-হিকমা ফের সক্রিয় হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। জেএমবির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাশকতার ছক কষছে এই সংগঠন সেটাই উঠে এসেছিল গোয়েন্দা তদন্তে।