কানহাইয়া কুমারের সভা ঘিরে উত্তাল যাদবপুর, এবিভিপি-এসএফআই হাতাহাতি
মেদিনীপুরের পর, কর্মসূচি ছিল কলকাতার যাদবপুরে। আর যাদবপুরে কানহাইয়ার সেই সভা ঘিরে রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
মেদিনীপুরের রাজনৈতিক সভায় কানহাইয়া কুমার বক্তব্য রাখার পর থেকেই রাজনৈতিক হাওয়া গরম হতে শুরু করে। মেদিনীপুরের পর , কর্মসূচি ছিল কলকাতার যাদবপুরে। আর যাদবপুরে কানহাইয়ার সেই সভা ঘিরে রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এপ্রজন্মের বাম সমর্থকদের কাছে কানহাইয়ার গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে। তাঁর সভা গিরে উত্তেজনা ছড়ানো সত্ত্বেও, দলে দলে কানহাইয়ার সভায় মঙ্গলবার ভিড় জমাতে থাকেন নবীন প্রজন্মের বাম সমর্থকরা। মেদিনীপুরে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত সভায় কানহাইয়ার মুখে কালি মাখাতে যায় এক যুবক , সেই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সভাস্থলে। হিন্দু সংহতির সমর্থক ওই যুবককে শেষে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনার পর যাদবপুরের সভা ঘিরে স্বভাবতই নিরাপত্তা তুঙ্গে ছিল।
যাদবপুরের সবা ঘিরে ছিল গণ্ডগোলর আশঙ্কা। এদিন, কানহাইয়া সভামঞ্চে আসা মাত্রই গণ্ডগোল বাধাবার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে এবিভিপির সমর্থকদের দিকে। ফলে এবিভিপির সমর্থকদের বাধা দিত উদ্যত হয় এসএফআই কর্মীরা। দুইপক্ষের হাতাহাতি ,বচসা শুরু হয়। তুমুল বিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনায় দু-একজন বেশ জখম হয়েছেন বলেও খবর। যদিও গোটা ঘটনায় নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে এবিভিপি।
এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই মঞ্চে উঠে কানহাই বক্তৃতা দিতে শুরু করেন, তিনি বলেন, "কেউ কেউ চেষ্টা করছে যাতে আমরা 'মন কি বাত' বলে উঠতে না পারি। ওটা শুধু প্রধানমন্ত্রীই বলবেন। কিন্তু তাই কি হয়! আমরা নিশ্চিত আমাদের মনের কথা ভাগাভাগি করে নেব।" এদিনের সভায় তিনি , জিএসটি থেকে প্রধানমন্ত্রীর 'আচ্ছে দিন" নিয়ে সমালোচনা করেন। পাশাপাশি, তাঁকে কেউ কালি মাখাতে চাইলে , সরাসরি মঞ্চে এসে কালি মাখানোর জন্য আহ্বান করেন।