ভাইফোঁটা বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে নতুন উদ্যোগ রাজ্যের মৎস্য উন্নয়ন দফতরের
ভাইফোঁটা
উপলক্ষে
বাঙালির
রসনা
তৃপ্তির
জন্য
নতুন
ভাবনা
রাজ্য
সরকারের।
রাজ্যের
মৎস্য
উন্নয়ন
দফতরের
উদ্যোগে
নবান্নের
ফুড
কোর্ট
চত্বরে
'ভাইফোঁটা
স্পেশাল
মেনু’
হিসাবে
মিলতে
চলেছে
একাধিক
মাছের
পদ।
কালী পুজোর আগে চলতি সপ্তাহের বৃহষ্পতিবার থেকেই নবান্নের ফুড কোর্ট চত্বর সংলগ্ন ভুরিভোজ রেস্তোরায় ওই বিশেষ পদ গুলির স্বাদ নিতে পারছে ভোজন রসিক বাঙালি। আগামী ৩রা নভেম্বরের আগে ভুঁরিভোজে এলেই পাওয়া যাবে ভাইফোঁটা স্পেশাল ইলিশ, ভেটকি, চিংড়ি সহ একাধিক মাছের পদ। পাশাপাশি থাকছে চিকেন ও মাটনেরও বিভিন্ন সুস্বাদু পদ।
মৎস্য উন্নয়ন দফতরের পরিচলন অধিকর্তা সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, 'রাজ্য সরকারের দ্বারা চালিত বিভিন্ন জলাধার গুলিতে উৎপাদিত মাছ গুলিই প্রধানত এই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানে বিক্রি করা হবে। যদিও ভাইফোঁটায় সাধারণত বেশির ভাগ বাঙালি মাটন ও চিকেন খেতেই পছন্দ করেন। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে থাকছে ৪৮০ থেকে ৫৮০ টাকার মূল্যের বিশেষ থালিও। ওই থালিতে তারা একইসাথে মাছ ও মাংস দুইয়েরই রসাস্বাদন করতে পারবেন। ’
সূত্রের খবর, রেস্তোরাটির বিক্রি-বাটা বাড়ায় বর্তমানে রেস্তোরাটির সম্প্রসারণের কাজও শেষ হয়েছে। বর্তমানে ১৮০ জন একই ছাদের তলায় বসেই 'ভুরিভোজের’ সুস্বাদু আহার গুলি গ্রহণ করতে পারেন। পাশাপাশি এবারের দুর্গাপুজোয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যবসাও করে এই রেস্তোরাটি। সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ উদ্বোধনের পর থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাছ সহ একাধিক খাদ্যের পদ বিক্রি করে রেস্তোরাটি প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে বলেও জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে সংস্কারের জন্য রাজ্যে মৎস্য উন্নয়ন দফতর দিঘা, শঙ্করপুর সহ ব্যাপী তাদের সমস্ত মাছের রেস্তোরা গুলি বর্তমানে বন্ধ করে রেখেছে। আগামী ডিসেম্বরে বড়দিনের আগে সেগুলিকে আবার পুনরায় খোলা হবে বলে মৎস্য দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই মাছের বিভিন্ন পদ গুলিকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে একটি মোবাইল অ্যাপ শুরু করা হয়েছে সরকারী ভাবে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই নিজের পছন্দ মতো মাছের পদ বাড়িতে বসেই অর্ডার করতে পারবেন ভোজন রসিক বাঙালি।