যৌন নির্যাতনে নাম জড়াল কলকাতায় বিড়লাদের আরও এক স্কুলের, প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত থামানোর অভিযোগ
জিডি বিড়লার স্কুলের পর এবার অভিযুক্ত শহরের অপর নামী অপর ইংরেজি মাধ্যম এমপি বিড়লা স্কুল। সেই একই ধরনের অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এই ক্ষেত্রে বেহালা থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
জিডি বিড়লার স্কুলের পর এবার অভিযুক্ত শহরের অপর নামী অপর ইংরেজি মাধ্যম এমপি বিড়লা স্কুল। সেই একই ধরনের অভিযোগ। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এই ক্ষেত্রে বেহালা থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
রানিকুঠির জিডি বিড়লার এবার জেমস লং সরণির এমপি বিড়লা স্কুল। অভিযোগ সেই একই। স্কুলের কাকু যৌন নির্যাতন করেছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাঝে মধ্যেই ঘটে যৌন নির্যাতনের ঘটনা। তবে সেপ্টেম্বরের পর থেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ সাড়ে তিন বছরের শিশুটির।
অনেক আশা নিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে নাম করা এমপি বিড়লা স্কুলে ভর্তি করেছিলেন একমাত্র সন্তানকে। কিন্তু জুন মাস থেকে যৌন নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইঙ্গিতে বোধানোর চেষ্টা করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি বেহালা থানার ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই পরিবার। শ্রেণি শিক্ষিকার এবং স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত অভিযোগের পরে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। স্কুলের তরফে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, এই ধরনের ঘটনা স্কুলে ঘটেনি। স্কুলের তরফে সিসিটিভির ছবিও দেখানো হয় হয়। তবে তা খুব একটা পরিষ্কার ছিল না বলে অভিযোগ শিশুটির পরিবারের। পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ করতে গেলে বলা হয়, এই ধরনের ঘটনায় শিশুটিকে হোমে পাঠাতে হয়। সেই সময় শিশুটির অভিভাবকরা পিছিয়ে আাসেন।
পরে ভাইস প্রিন্সিপালের তরফে জানানো হয় এবং আশ্বাস দেওয়া হয় এই ধরনের কোনও ঘটনা আর ঘটবে না। শিশুটিকে স্কুলে পাঠানোর জন্য অনুরোধও করা হয়। সেই মত স্কুলে যেতে শুরু করে শিশুটি।
কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর জামায় রক্তের দাগ থাকায় শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, যৌন নির্যাতন করা হয়েছে শিশুটির ওপর, এমনটাই দাবি ওই পরিবারের। এরপর ফের থানায় যায় শিশুটির বাবা। সেখানো স্কুলের বহু কর্মীর ছবি দেখানো হয় শিশুটিকে। শিশুটি সেখান থেকে দুজনকে সনাক্তও করে। ১৫ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশুটির পরিবারের তরফে। অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। তবে এরপর থানার থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
জিডি বিড়লার ঘটনা সামনে আসার পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটির পরিবার। সরাসরি বেহালা থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।