পরিবহণ মন্ত্রীর উদ্যোগ, বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্যের মধ্যেই।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে অবশ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্যের মধ্যেই। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের একাধিক বাসে দুর্গাপুর থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় মুর্শিদাবাদে।
নির্মাণ শ্রমিকদের ঘরে ফেরালেন শুভেন্দু
মুর্শিদাবাদ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যান মুর্শিদাবাদের বহু মানুষ। এরকমই বেশ কিছু শ্রমিক গিয়েছিলেন দুর্গাপুরে। রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার পর তারা মুর্শিদাবাদে ফিরতে পারেননি। সেই কথা কানে যায় শুভেন্দু অধিকারীর। এরপর তিনি তিনটি বাসে এইসব শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার বন্দোবস্ত করেন।
শ্রমিকদের পাশে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব
জানা গিয়েছে মন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে উদ্যোগী ভূমিকা নেন দুর্গাপুর পুরসভার এক বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গ দিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বও। দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের তাঁরা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের ডিপোয় পৌঁছে দেন। এইসব শ্রমিকদের অভিযোগ, যেসব ঘরে তাঁরা ছিলেন, সেখানকার মালিকরা ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
পরিবহণমন্ত্রী ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ
লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফেরার সুযোগ পেয়ে খুশি আটকে পড়া নির্মাণ শ্রমিকরা। তাঁরা পরিবহণ শ্রমিক ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের বিনামূল্য বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন এইসব শ্রমিকরা।
হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা
জানা গিয়েছে এইসব নির্মাণকর্মী মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা হলেও, বাস থেকে নেমে তারা বাড়িতে যেতে পারেননি। তাঁদেরকে হাসপাতালে একদফা শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। দুর্গাপুর থেকে বাস ছাড়ার আগে টালক ও কন্ডাক্টরদের মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাসে জীবাণু নাশকও স্প্রে করা হয়।