মমতার দলের বহু নেতা, মন্ত্রীই বিজেপিতে পা বাড়িয়ে, পুজোর পরেই দলবদল, দাবি দিলীপ ঘোষের
তৃণমূলের বহু নেতা, মন্ত্রীই বিজেপিতে পা বাড়িয়ে আছেন। সবাই চলে এলে তৃণমূলই থাকবে না, উঠে যাবে। বর্ধমানে এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
তৃণমূলের বহু নেতা, মন্ত্রীই বিজেপিতে পা বাড়িয়ে আছেন। সবাই চলে এলে তৃণমূলই থাকবে না, উঠে যাবে। বর্ধমানে এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যাঁরা বাংলায় বদল চান, তাঁরা বিজেপিতে স্বাগত বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন, 'শুধু মুকুল রায়ই নন, আরও অনেকের জন্যই দরজা বড় করেছি, খুলে রেখেছি। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।' তৃণমূল হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কথাবার্তা অনেকদূর হয়েছে। এবার তাঁরা ঠিক করবেন, কবে আসতে চান।
রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এরাজ্য থেকে বিজেপির তরফে বেশ কিছু ক্রস ভোটিং হয়েছে। সারদা এবং নারদ তদন্তের পর তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা দিল্লিতে যোগাযোগ রাখছেন এপর্যন্ত সব কিছুই ঠিক ছিল। কেননা এসম্পর্কে তৃণমূল নেত্রীর কাছেও খবর রয়েছে। কিন্তু বর্ধমানে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বার্তা সর্বভারতীয় সভাপতির রাজ্য সফরের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিষয়টি নিয়ে অন্তত মিডিয়ার সামনে মাথা ঘামাতে নারাজ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, সারদা ও নারদ তদন্তের মধ্যেই দিলীপ ঘোষ যখন বলছেন, দিল্লির বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের একাধিক পদাধিকারী, তখন কিছু একটা তো হচ্ছেই। তবে পুজোর পর, না বছরের শেষ, কখন তৃণমূল ভাঙে, কিংবা আদৌ ভাঙে কিনা এখন সেটাই দেখার।