মোদীর গুজরাতকে অনুসরণ! আসন্ন পুর নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে মমতার নির্দেশে 'বিপাকে' বহু কাউন্সিলর
প্রশান্ত কিশোরের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোর বর্তমান কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিলেন।
প্রশান্ত কিশোরের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোর বর্তমান কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত জানিয়েদিলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর হলেই, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদীও এই নীতি অনুসরণ করেছিলেন।
দলে ঝগড়া বন্ধে হুঁশিয়ারি
সূত্রের খবর অনুযায়ী তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ভবনে হওয়া বৈঠকে দলের জেলা সভাপতি আর পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দলের মধ্যে টিকিট নিয়ে যেন কোনও ঝগড়া না হয়। পুরভোটে দল প্রার্থী করবে আর যোগ্য লোককেই প্রার্থী করা হবে।
বর্তমানে কাউন্সিলর হলেও টিকিট নিয়ে নিশ্চয়তা নেই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকা থেকেই পরিষ্কার, বর্তমান কাউন্সিলর হলেই কেউ টিকিট পাওয়ার বিষয়টিকে নিশ্চিত বলে যেন ধরে না নেন। জেলা সভাপতি আর পর্যবেক্ষকদের হাতে টিকিট বিলির কোনও দায়িত্বই আথকছে না।
এলাকায় সমীক্ষার ওপরই টিকিট বিলি
সারা বাংলা জুড়ে পুরসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের তরফে কাজ করছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। তাঁরা প্রার্থীদের নিয়েও সমীক্ষা চালিয়েছেন কিংবা চালাচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। ফলে ওই টিম যাঁদের প্রার্থী করার ব্যাপারে সবুজ সংকেটত দেবে, তাঁরাই টিকিট পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশিকা
সামনে স্বীকার না করলেও, পিছনে তৃণমূলের অনেক বাঘা নেতাও স্বীকার করে নেন ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে এপ্রসঙ্গে সতর্ক করেছেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বুঝতে কোনও ভাবেই হিংসার আশ্রয় নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রধান কিশোরের নির্দেশিকার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় অনেক কাউন্সিলরই ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। কাটমানি, তোলাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত অনেক তৃণমূল কাউন্সিলর যে এবার টিকিট পাবেন না তা বলাই বাহুল্য।
গুজরাতকে অনুসরণ
গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে পুরভোটের সময় ৬০ শতাংশ কাউন্সিলরকে টিকি দেয়নি বিজেপি। পরেবছর বিধানসভা ভোটেও সেই ফর্মুলা প্রয়োগ করেছিল গেরুয়া শিবি। ফলে মিলেছিল হাতেনাতে। প্রশান্ত কুমারের পরামর্শে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সেই মোদীর পথেই চলেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।