মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
শুধু সোমবারের বাস দুর্ঘটনাই নয়, এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস। কেন বারবার এনবিএসটিসির বাসই দুর্ঘটনায় পড়ছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
শুধু সোমবারের বাস দুর্ঘটনাই নয়, এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাস। কেন বারবার এনবিএসটিসির বাসই দুর্ঘটনায় পড়ছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
১৯৯৯ সালে ৬ মে বহরমপুরে ব্রিজের গার্ডরেল ভেঙে সরকারি বাস ভাগিরথিতে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের। সেই সময়ও বাসের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর একবিংশ শতকের প্রথম দশকে ফরাক্কা ব্রিজ থেকে লকগেটের ওপর বাস পড়ে গিয়ে অপর একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই দুর্ঘয়টনায় কন্ডাক্টর এবং বছর পাঁচেকের এক শিশুকন্যাকে বাদ দিয়ে বাকি সবার মৃত্যু হয়েছিল। বাসের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়ও।
যদিও সোমবারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি একেবারে নতুন। সেই বাসের দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। টোলপ্লাজা থেকে বাস বেরনোর পর কী ভাবে দুর্ঘটনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বাসের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বেঁচে ফেরা একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। সেই জন্যই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। চালকের অসর্তকার অভিযোগও উঠছে।
অনেকেই বলছেন কুয়াশা ছিল। বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ রেষারেষির জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
শেষ মুহূর্তে বাসের কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছিল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে। সরকারি তদন্তে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে এখন কোন তথ্য উঠে আসে এখন সেটাই দেখার।