মসজিদে মাইক্রোফোনে আজান বন্ধ রাখার নির্দেশ যোগী-রাজ্যে! রমজান মাসে সরব কর্তৃপক্ষ
রমজান মাসে মসজিদে মাইক্রোফোনে আজান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল পুলিশ প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগ করেছে উত্তরপ্রদেশের মসজিদ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, পুলিশ জানিয়েছে, মাইক্রোফনে কোনও আজান দেওয়া যাবে না। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের কয়েকটি জেলার পাশাপাশি ফারুকাবাদেও এইরকম আদেশ জারি হয়েছে সম্প্রতি।

নামাজের আগে আজান নিয়ে নির্দেশ
আজান নামাজের সময়ের ইঙ্গিত দেয়। পবিত্র রমজান মাসে শনিবার থেকে শুরু হওয়া রোজার শুরু ও সমাপ্তি চিহ্নিত করে। কিন্তু এবার তা করা সম্ভব কি না তা নিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ প্রশাসনের দিকে। জেলাগুলির উর্ধ্বতন আধিকারিক এবং রাজ্য সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এমন কোনও মন্তব্য করা হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

মসজিদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ
গাজীপুরের জামানিয়া থানা এলাকার একটি মসজিদের ভারপ্রাপ্ত জাহিদ খান বলেন, শনিবার ভোর ৩.৪৫ মিনিটে কিছু পুলিশ সদস্য মসজিদে এসেছিলেন এবং তাঁদের বলেছিলেন যে জেলা কর্মকর্তারা আদেশ দিয়েছিলেন আযান দেওয়া যাবে না লাউডস্পিকারে। আমি যখন তাদের লিখিত আদেশ দেওয়ার জন্য বলি তখন পুলিশকর্মীরা বলেছিলেন ডিএমের দ্বারা মৌখিক আদেশ জারি করা হয়েছে।

নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা
তারপর তাঁরা আমাদের বলেন, আমরা যদি তা না মানি তবে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আজ কোনও আজান দিইনি লাউডস্পিকারে। দারুল উলূম ফিরঙ্গী মহলের মুখপাত্র সুফিয়ান নিজামীও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, "আমি সারাদিন গাজীপুরে ইমামদের কাছ থেকে কল পেয়ে আসছি। আযান রমজানের সময় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের রোজা শুরু এবং শেষ করার ইঙ্গিত দেয়।"


প্রশাসনের বার্তা
গাজীপুরের এসপি ওম প্রকাশ সিং বলেন, "জেলায় আজান সংক্রান্ত কোনও আদেশ নেই। রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও লকডাউনের আদেশ প্রযোজ্য আছে। ফারুকাবাদের সিটি ম্যাজিস্ট্রেট অশোক মৌর্য বলেন, ডিএম মসজিদ থেকে ঘোষণা এবং মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফারুকাবাদের ডিএম মানবেন্দ্র সিং এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।