৩০ জেলা সভাপতি পরিবর্তনের পরেই বিজেপিতে মতুয়া 'বিদ্রোহে'র আঁচ! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন একের পর এক বিধায়ক
বিজেপির (BJP) নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পরেই সায়ন্তন বসুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী বিধায়ক। এবার জেলা কমিটি ঘোষণার পরে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ ছেড়েছেন একের পর এক বিধায়ক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকা
বিজেপির (BJP) নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পরেই সায়ন্তন বসুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী বিধায়ক। এবার জেলা কমিটি ঘোষণার পরে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ ছেড়েছেন একের পর এক বিধায়ক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রকাশিত তালিকায় মতুয়াদের (Matua) কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ বিধায়কের বিদ্রোহ
এগিন বিকেলে রাজ্য সভাপতি সুকান্তর মজুমদারের তরফে জেলা সভাপতি ও ইনচার্জদের নাম ঘোষণা করা হয়। একদিকে যেমন সাংগঠনিক সুবিধার কথা বলে ৩ টি সাংগঠনিক জেলা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, ঠিক তেমনই ৩০ জন সভাপতিকে বদল করা হয়েছে। এর পরেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তিন বিধায়ক বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর এবং হরিণঘাটার অসীম সরকার। এছাড়াও রাণঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিয়া রায়ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
মতুয়াদের প্রাধান্য না দেওয়ার অভিযোগ
হোয়াটসঅ্যাপ
গ্রুপ
ছেড়ে
যাওয়া
পাঁচ
বিধায়কের
মধ্যে
কেউ
প্রকাশ্যে
কোনও
মন্তব্য
না
করলেন,
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
বিজেপির
দায়িত্বপ্রাপ্ত
জেলা
সভাপতিদের
মধ্যে
মতুয়াদের
গুরুত্ব
দেওয়া
হয়নি
বলে
অভিযোগ
করা
হয়েছে।
অন্যদিকে
বনগাঁ
সাংগঠনিক
জেলায়
যাঁকে
সভাপতি
করা
হয়েছে
তিনিও
মতুয়া
সম্প্রদায়
ভুক্ত
নয়।
পাশাপাশি
রাজ্য
কমিটির
গুরুত্বপূর্ণ
পদের
মতুয়াদের
প্রতিনিধিত্ব
দেওয়া
হয়নি।
যা
নিয়ে
ক্ষোভ
তৈরি
হয়েছে
দলের
একাংশের
নেতা
কর্মীদের
মধ্যে।
প্রসঙ্গত
উত্তর
২৪
পরগনায়
বনগাঁ
সাংগঠনিক
জেলায়
বিজেপি
সব
থেকে
ভাল
ফল
করেছিল।
বনগাঁ
লোকসভার
অন্তর্গত
সাতটি
বিধানসভার
মধ্যে
স্বরূপনগর
বাদ
দিয়ে
বাকি
ছটি
আসন
জিতেছিল
বিজেপি।
পরে
অবশ্য
বাগদার
বিধায়ক
বিশ্বজিৎ
দাস
তৃণমূলে
যোগ
দেন।
আসরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
বছরের শুরুতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট টানতে এবং শান্তনু ঠাকুরে ক্ষোভ প্রশমনে বনগাঁকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ মনস্পতি দেবকে। কিন্তু এবারে বর্তমান সভাপতি পরিবর্তনের জেরে তিনিও ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি নিয়ে কিমি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন আরও ২ নেতা
এর আগে বিজেপির রাজ্য কমিটির ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই কমিটি থেকে বাদ পড়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনই সায়ন্তন বসুর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী-সহ অপর এক প্রভাবশালী বিধায়ক। সায়ন্তন বসু জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেই তাঁরা এসেছিলেন। এরপরে অবশ্য বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে দলের কর্মীদের লাঠি হাতে পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে। আর শনিবার একদিকে যখন কমিটি নিয়ে অসন্তোষের জেরে ৫ বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন, ঠিক তখনই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীলভদ্র দত্তের মতো নেতারা।
'আত্মনির্ভরতা'র ডাক এবার বিজেপির অভ্যন্তরেও! প্রধানমন্ত্রী মোদী দান করলেন ১ হাজার টাকা