ফের দিলীপ ঘোষের গড়ে বড় ভাঙন! একাধিক প্রভাবশালী বিজেপি নেতার যোগ ঘাসফুল শিবিরে
বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) গড়ে বড় ভাঙন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির স্পোর্টস সেলের সম্পাদক, জেলার বিজেপি মহিলা নেত্রী বিশিষ্ট আইনজীবী-সহ ৭০ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গ
বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) গড়ে বড় ভাঙন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির স্পোর্টস সেলের সম্পাদক, জেলার বিজেপি মহিলা নেত্রী বিশিষ্ট আইনজীবী-সহ ৭০ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গত মাসেও খড়গপুরের ৪ বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
'সাঁই'বাড়ি ছিনিয়ে নিল বিজেপি! ২ প্রাক্তন বিধায়ককে দলে নিয়ে তৃণমূলের পা কাঁপানোর বার্তা দিলীপের
দলবদলের সভা ইন্দা পেট্রোল পাম্পের কাছে
খড়গপুর ইন্দা পেট্রোল পাম্পের কাছে তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-কর্মীদের হাতে তৃণমূলের তরফে পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
খড়গপুরে আগেও দলবদল
গতমাসের চতুর্থ সপ্তাহে দিলীপ ঘোষ যখন সংসদের অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত, সেইসময় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন এলাকার চার প্রভাবশালী নেতা। যা নিয়ে দলবদলকারীদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কটাক্ষ করেন। সেই চার নেতার মধ্যে ছিলেন, সংসদ প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাজদীব গুহ, বিজেপির খড়গপুর উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি অজয় চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈলেন্দ্র সিং এবং লাকার বিজেপি নেতা সজল রায়। সেই সময় দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীদের দলে টানা হচ্ছে।
বিজেপি শিবিরে ধাক্কা
প্রথমে গতমাসের দলবদল, তারপর শুক্রবারের দলবদলে বিজেপি শিবিরে বড় ধাক্কা লেগেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যে কোনও রাজনৈনিক দলের সরকার গঠনের ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের গড়ে পরপর দলবদলে তৃণমূল বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে বলেই মনে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।
গত এক সপ্তাহে একাধিক দলবদল
গত এক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারই হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গের খড়গপুর, তৃণমূলের তরফে একাধিক দলবদল হয়েছে। বিজেপির নেতা, কর্মীরা শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন। বিষয়টি বিজেপির পক্ষে মোটেও ভাল নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
গুরত্বে নারাজ বিজেপি
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের বিধানসভা কেন্দ্রে একের পর এক দলত্যাগ স্থানীয় নেতৃত্বের চিন্তা বাড়ালেও, ক্যামেরার সামনে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।