শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ, মুকুল ঝরে যাওয়ার পরে বাংলা থেকে বিজেপির বিভিন্ন নাম নিয়ে জল্পনা
২০২৪-এর ঢের দেরি। তার আগে রয়েছে বেশ কয়েক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু পদও ফাঁকা রয়েছে। সেইসব ফাঁকা পদে বিভিন্ন রাজ্যের মতো বাংলা থেকেও একাধিক বিজেপি (bjp) সাংসদকে মন্ত্রী করা হতে পার
২০২৪-এর ঢের দেরি। তার আগে রয়েছে বেশ কয়েক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু পদও ফাঁকা রয়েছে। সেইসব ফাঁকা পদে বিভিন্ন রাজ্যের মতো বাংলা থেকেও একাধিক বিজেপি (bjp) সাংসদকে মন্ত্রী করা হতে পারে। মুকুল রায়ের (mukul roy) তৃণমূলে (trinamool congress) ফিরে যাওয়ার পরে বিভিন্ন নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে।
একের পর এক বৈঠক মোদীর
শিবসেনা, অকালি দল মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। প্রয়াত হয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। সব মিলিয়ে প্রায় দুডজনের ওপরে পদ ফাঁকা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সম্প্রসারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই অমিত শাহ, সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের কাজের পর্যালোচনাও করছেন। তাঁদের রিপোর্ট কার্ডও জমা নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক মন্ত্রীর ঘাড়েই বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব লাঘব করতে এমাসেই হতে পারে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ।
দিলীপ ঘোষ
রাজ্য থেকে নতুন মন্ত্রীর তালিকায় যে নামটি প্রথমে আসছে, তিনি হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষ দ্বিতীয় দফার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ তাঁকে মন্ত্রী করতে চায়। ফলে মেয়াদ শেষের আগেই তিনি মন্ত্রী হবেন, নাকি মেয়াদ শেষের পরে সঙ্ঘের কাজে ফের জড়িয়ে পড়বেন, সেই উত্তর পেতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
লকেট চট্টোপাধ্যায়
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের গুডবুকে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হিসেবে তাঁর কাজে খুশি ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এছাড়াও নিজের এলাকায় হোক কিংবা অন্য কোথাও লকেট চট্টোপাধ্যায় যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, তাতেও খুশি তাঁরা। ফলে তিনিও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়াদের মধ্যে অন্যতম হতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সুভাষ সরকার
রাজ্য বিজেপির অন্যতম পুরনো নেতা। তাঁর সঙ্গে অমিত শাহের সম্পর্কও খুব ভাল। এছাড়াও আরএসএস-এ যোগসূত্রও খুব শক্তিশালী। রাজ্য বিজেপির তরফে তাঁকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে। এবার তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দেখা গেলে আশ্চর্য়ের কিছু থাকবে না।
নিশীথ প্রামাণিক
উত্তরবঙ্গের রাজবংশী নেতা। বিধানসভা ভোটে মাত্র ৫৬ ভোটে দিনহাটার প্রভাবশালী বলে পরিচিত উদয়ন গুহকে হারিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল। উত্তরবঙ্গে বিজেপির লড়কু মুখ। কিন্তু তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরে তাঁকে মুকুল রায়ের ফোন করার খবরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ২০১৯-এর একেবারে শুরুতে মুকুল রায়ের হাত ধরেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং লোকসভা ভোটে জিতে যান কোচবিহার আসন থেকে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কতটা ভরসা যোগ্য হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ।
শান্তনু ঠাকুর
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বনগাঁ থেকে জয়ী হয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। লোকসভা নির্বাচনে পরে মতুয়া অধ্যুশিত কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি ফল খুব একটা খারাপ নয়। ফলে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে।
আনুগত্য দেখিয়েছেন অর্জুন, সৌমিত্রও
এই সপ্তাহে শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পরে আরও যাঁদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্যারাকপুরে সাংসদ অর্জুন সিং এবং বিষ্ণুপুরে সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পথ ধরতেই আক্রমণে সামিল হয়ে দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন প্রাক্তন দুই তৃণমূলী। সেদিক থেকে সৌমিত্র আবার মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে এসেছিলেন। তবে কাউকে মন্ত্রী করার আগে সবদিক বিচার বিবেচনা করে দেখছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। এখন কে বা কারা সুযোগ পান সেটাই দেখার।
ট্রোজান হর্সের সঙ্গে তুলনা, একমাসে আগে মুকুল রায়ের টুইট নিয়ে প্রশ্ন তথাগত রায়ের