এনআরসির বিরোধিতা! শ'য়ে শ'য়ে বিজেপি সদস্যের যোগ তৃণমূল কংগ্রেসে
বাঁকুড়ার সোনামুখির পিয়ারবেড়ায় এনআরসির বিরুদ্ধে বড় সমাবেশ তৃণমূলের। সেখানেই এনআরসি বিরোধী মঞ্চে ২২১ টি পরিবার থেকে প্রায় ৮৫০ জন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
বাঁকুড়ার সোনামুখির পিয়ারবেড়ায় এনআরসির বিরুদ্ধে বড় সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখানেই এনআরসি বিরোধী মঞ্চে ২২১ টি পরিবার থেকে প্রায় ৮৫০ জন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এমনটাই দাবি করেছেন, তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। যদিও বিজেপির তরফে তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের এনআরসি বিরোধী সমাবেশ
বর্তমানে কেন্দ্র তথা বিজেপি বিরোধী যে সব ইস্যু তৃণমূলের হাতে রয়েছে তাদের মধ্যে এনআরসি অন্যতম। জেলায় জেলায় তা নিয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরকমই একটি প্রচার সভা হয়ে গেল বাঁকুড়ার সোনামুখির পিয়ারবেড়ায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিকে জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। এছাড়াও ছিলেন সোনামুখি ব্লক তৃণমূল সভাপতি ইউসুফ মণ্ডল।
বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই এনআরসি বিরোধী সভায় ২২১ টি পরিবার থেকে ৮৫০ জন বিজেপি সদস্য তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতেই বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে দলের তরফে।
তৃণমূলের অভিযোগ
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বিজেপিকে খুন, সন্ত্রাস আর মিথ্যাবাদীর দল অ্যাখ্যা দেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তার একটিও পূরণ করেনি। এছাড়াও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাষণ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগও তিনি করেছেন।
হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা
বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলে দলবদলের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার সোনামুখি বিধানসভায় পরাজিত হয়েছে। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসনে শ্যামল সাঁতরা পরাজিত হয়েছেন বিজেপির কাছে। সেই হারানো জমি তৃণমূল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে।