নেতৃত্বের ব্যাটন বেরিয়ে গিয়েছে মমতার হাত থেকে! রাহুলের পরে এবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে জল্পনা
২২ মে বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। দেশে সরকারের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং পরিযায়ীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবিকে সামনে রেখে ওইদিন বিকেলে ভিডিও কনফারেন্স হবে।
২২ মে বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। দেশে সরকারের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং পরিযায়ীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবিকে সামনে রেখে ওইদিন বিকেলে ভিডিও কনফারেন্স হবে। সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপি।
উত্তর ও উত্তর পূর্ব পথে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, নিস্তার নেই উত্তরবঙ্গেরও
রাহুল সিনহার কটাক্ষ
রাহুল সিনহা কটাক্ষ করে বলেছেন, বাকি বিরোধীদের শেষযাত্রা হয়েই গিয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রা শুরু হয়েছে। সেই কারণে কোনও ঐক্যতে কোনও কাজ হবে না। তাঁর দাবি, দেশের মানুষ মোদীজির সঙ্গে রয়েছে। তাঁর আরও দাবি করোনা মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত।
নেতৃত্বের ব্যাটন মমতার হাত ছাড়া
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী, কিন্তু এবারের নেতৃত্বের ব্যাটন চলে গিয়েছে সনিয়া গান্ধীর হাতে। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই শুরু হতে পারে। তবে ভাল কাজ হলে ভাল। মন্তব্য করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ
দিলীপ ঘোষ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির করোনা পরিস্থিতি ও পরিযায়ীদের পরিস্থিতি নিয়ে ২২ মে-র বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, মোদীজি যেভাবে কাজ করছেন, তা বিশ্বাস না রেখে করোনা ফ্রন্ট তৈরি করা হয়েছে।
টার্গেটে মমতাই
তবে এই বৈঠক নিয়ে রাজ্য বিজেপির টার্গেট সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রিগেডের মিটিং-এর হাজির ছিল বামেদের বাদ দিয়ে দেশের প্রায় সব বিরোধীদলগুলি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তা কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এই ধরনের ফ্রন্টের দুর্দশা সবাই জানেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সবাই একসঙ্গে লড়াই করার জন্য হাত তুলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয়েছিল, তা সবাই জানেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সব কিছুতেই রাজনীতি মমতার
দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে। এই সময়ে রাজনীতি ভোলা উচিত। এব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর রাজনীতি না করার ডাকের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কটাক্ষ, যিনি সারাজীবন রাজনীতি ছাড়া কিছু করেন না, তিনি যদি বলেন, তাহলে তা কতটা ফলপ্রসু হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।