পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে চন্দননগরে এবার সাড়ে সাত ফুটের কাগজের জগদ্ধাত্রী
চন্দননগরে এবার সাড়ে সাত ফুটের কাগজের জগদ্ধাত্রী
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর আর এক মায়ের পুজোয় মেতে ওঠে গোটা বাংলা, তা হল জগদ্ধাত্রী ঠাকুর। যদিও এই পুজো বিখ্যাত চন্দননগরেই। সেখানেই সাড়ম্বরে পালিত হয় এই পুজো। তবে প্রতিমা বিসর্জনের পর থেকেই আর একটি গুরুতর বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তা হল দূষণ। আর এই দূষণের কথা মাথায় রেখেই পরিবেশবান্ধব কাগজের জগদ্ধাত্রী তৈরি করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে চন্দননগরের প্রিয়ম ঘোষ।
চন্দননগরের গন্ডালপাড়ার সাত ঘাট ঘোষবাড়ির পুজো এ বছর ২৩ বছরে পা দিল। এ বাড়ির ছেলে প্রিয়ম ঘোষ বাড়ির পুজো শুরু করেন। তিনিই নিয়ম–নিষ্ঠা মেনে পুজো করেন। এই বাড়ির ঠাকুর কোনও মৃন্ময়ীরূপী নয়, বরং সম্পূর্ণ কাগজের তৈরি। প্রিয়ম জানান, ছোটেবেলায় বাড়িতে পুজো হত, যা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই প্রিয়ম ঠিক করে যে তিনি নিজে পুজো করবে। ছোটবেলায় পেন্সিল বাক্সকে কাঠামো করে তার ওপর কাগজের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর আটাকাতেন প্রিয়ম। ওই ঠাকুরেই পুজো করত ছোট্ট প্রিয়ম। এরপর ধীরে ধীরে সেই ঠাকুর বড় হতে শুরু করে। প্রথম সাড়ে পাঁচ ফুটের কাগজের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর তৈরি করেন তিনি।
এ বছর প্রিয়ম সাড়ে সাত ফুটের জগদ্ধাত্রী তৈরি করেছেন। সম্পূর্ণটাই কাগজের তৈরি। প্রিয়ম জানান, ঠাকুরের সাজ–সজ্জা, শাড়ি, চুল পুরোটাই কাগজ দিয়ে। রং হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ফেব্রিক কালার। প্রিয়ম বলেন, 'পরিবেশের কথা মাথাতে রেখে নতুন ধরনের এই ঠাকুর বানানোর সিদ্ধান্ত নিই। মাটির ঠাকুরে যে সিসার রং ব্যবহার করা হয় তা জলে মিশলে জল দূষিত হতে পারে। কিন্তু আমি কাগজের ঠাকুরে যে ফেব্রিক ব্যবহার করি তা জলে অত সহজে মেশে না। তাই দূষণ হয় না।’ কৃষ্ণনগরের ঘরানাকে মাথায় রেখে প্রিয়ম তার কাগজের জগদ্ধাত্রী তৈরি করেন। এরপর সপ্তমী থেকে পুজো শুরু হয়। নবমীতে প্রধান পুজোর পর দশমীতে ঠাকুর ভাসান।