
দ্বিতীয় দিনও বনধের প্রভাব বেশি পড়ল ব্যাঙ্ক পরিষেবায়
আজকে দ্বিতীয় দিন ভারতের বনধের। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরাম ভারত বনধের ডাক দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সোমবার এবং মঙ্গলবার । কেন্দ্রের 'শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, মানুষ বিরোধী এবং দেশবিরোধী নীতির' বিরুদ্ধে এই বনধ। ফোরামের তরফে মানুষকে এর প্রতিবাদে নামার আর্জি জানানো হয় । বাম কর্মী-সমর্থকরা বনধের সমর্থনে প্রথম দিন রাস্তায় নেমেছিল। ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল । দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল রেল অবরোধের ফলে যাত্রীদের। আজকে বনধের দ্বিতীয় দিন এই আবহে।


বনধ সমর্থনকারীরা মোড়ে পথ অবরোধও করেন এদিন সকালে বাঘাযতীনে। মিছিলও বের হয় এলাকায় সিপিএম নেতা সুদীপ সেনগুপ্তর নেতৃত্বে। ঝামেলা বাঁধে কসবায় বনধ সমর্থনকে ঘিরে।ন বারাসত কলোনি মোড় চত্বরে ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই পথ অবরোধ করে। সেখান থেকে পরে বারাসত থানার পুলিশ এসে ধর্মঘটীদের হটিয়ে দেয় ।
এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিল সিপিএম। মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সুলতান নগরে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে সকালের দিকে তারা নামে বনধ সমর্থন করতে। তীব্র যানজট দেখা দিয়েছিল এলাকায় এদিকে সকালের দিকে এর জেরে । সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার, ধূপগুড়িতে। এদিকে বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। ধর্মঘট সমর্থনকারীদের রাস্তায় সেভাবে দেখা যায়নি। বনধ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে বনধ সমর্থনকারীদের উপর হয় এই ঘটনা। সেখান থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ তিন ধর্মঘট সমর্থনকারীকে।
বিজনেস নোটিশের মুলতুবি প্রস্তাব করেন কংগ্রেস সাংসদ শক্তিসিংহ গোহিল। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিভিন্ন সরকারী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা 'ভারত বনধ' নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই প্রস্তাব করেন তিনি। শ্রম কোড বাতিল করা, কোনও ধরণের বেসরকারীকরণ না করা, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন (এনএমপি) বাতিল করা, বরাদ্দ বাড়ানো, মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন-এর অধীনে মজুরি এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের রেগুলার করা কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে।
প্রথমদিন সেভাবে প্রভাব পড়েনি দু'দিনের ভারত বনধে পশ্চিমবঙ্গে। রাস্তায় নামেন কয়েকটি জায়গায় বনধ সমর্থনকারীরা, অবরোধ করেন। পুলিশ ধর্মঘটীদের হঠিয়ে দেয়। সার্বিকভাবে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল গতকাল। অবশ্য বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে ভারতের অন্যান্য প্রান্তে। একেবারেই কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি কোথাও বনধের। কোথাও রাস্তাঘাট বেশ শুনশান দেখিয়েছে। এই বনধের জেরে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অবশ্য প্রভাবিত হয়েছে। ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আজও ব্যাহত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।