২০২১-এ তৃণমূল ও বিজেপির মোকাবিলা! বাম, কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা কবে, ইঙ্গিত অধীরের
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যে বাম কংগ্রেসের জোট হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে দুই দল একসঙ্গে পথে নেমেছে। দুপক্ষেরই ইচ্ছা জোট করার। অধীর চৌধুরীও ইতিমধ্যেই একসঙ্গে লড়াইয়ের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। পিছিয়ে নেই বামেরাও।

তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে পথে বাম, কংগ্রেস
বাম ও কংগ্রেস একই সঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তি একসঙ্গে কর্মসূচি নেয় তারা। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ মুখে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়ে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করছে মোদী সরকার। অন্যদিকে এখই দিনে শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে পথে নেমেছিল বাম কংগ্রেসের গণ সংগঠনগুলি। সেখানে কৃষকদের ঋণমুক্তি, ফসলের ন্যায্য দামের দাবি তোলা হয়।

পুজোর পর আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা
বাম ও কংগ্রেস উভয়েই চায় আসন সমঝোতা। সেই আসন সমঝোতা নিয়ে দুপক্ষের কথা হবে পুজো মেটার পর। বামেরা আগেই প্রার্থী তালিকা ঠিক করতে। যাতে সেই প্রার্থীকে সামনে রেখে আগে থেকেই লড়াই করা যায়। অধীর চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এব্যাপারে আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে। আলোচনা আগেই শুরু হবে, যাতে শেষের দিকে সমস্যা তৈরিতে বাধা দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দুপক্ষে মধ্যে জোট হয়নি শেষ মুহুর্তের আলোচনা ভেস্তে যাওয়াতেই।

ভোটে মেরুকরণের চেষ্টা তৃণমূল ও বিজেপির
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি ভোটে মেরুকরণ করতে চাইছে। সেই কারণে এটা বাম ও কংগ্রেসের দায়িত্ব তৃতীয় বিকল্প তুলে ধরা। কংগ্রেসের তরফে কো-অর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য ছাড়াও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বামদলগুলির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।

২০১৬ সালে হয়েছিল বাম কংগ্রেস জোট
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বাম, কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। সেই জোট ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ৭৪ টি আসন দখল করেছিল। তারপর জোট ভেঙে যায়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে চেষ্টা করা হলেও, শেষ মুহুর্তে তা ভেস্তে যায়।

বিমান-অধীর কথা
সিপিএম সূত্রে খবর দিন কয়েক আগে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সেখানে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা যাতে তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়. তার জন্য অনুরোধ করেন। অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরেই সিপিএম নেতা মহঃ সেলিমের সঙ্গে অধীর চৌধুরীর এব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বাম কংগ্রেসের জোট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে বাম ও কংগ্রেসের নিচুর তলার কর্মীদের তিনি আশ্বস্ত করে বলেন তাঁরা যেন কোনও অপপ্রচারে কান না দেন।

আশাব্যঞ্জক ভাবে 'আর ভ্যালু’ কমছে কমছে গোটা দেশেই! উল্টে পুজোর আবহে আশঙ্কা বাড়ছে বাংলায়