মদের ঠেকের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত শিক্ষক, হুমকি প্রতিবাদীর স্ত্রী-মেয়েকে
ইসলামপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর : আবারও আক্রান্ত প্রতিবাদ। আক্রান্ত প্রতিবাদী। এবার ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। মেটিয়াব্রুজ, হাওড়া, মালদহের পর ইসলামপুরে বাড়ির সামনে মদের ঠেকের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হলেন এক শিক্ষক। বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর, গালিগালাজ, স্ত্রী-মেয়েকে হুমকি দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম অমল রায়। তিনি স্থানীয় এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক।
সন্ধের পর বাড়ির পিছনে ফাঁকা জায়গায় প্রতিদিন বসত মদের আসর। পথ চলতি মানুষদের উদ্দেশে উড়ে আসত অশ্রাব্য গালিগালাজ। মহিলাদের কটূক্তি চলত সর্বক্ষণ। এর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন অমলবাবু। অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয় থানায়। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বহুবার অনুরোধও জানান ক্ষুদিরামপল্লির বাসিন্দা ওই শিক্ষক। কিন্তু প্রশাসন ছিল নির্বিকার। ফলে সমাজবিরোধী কাজকর্ম বাড়তেই থাকে। দুষ্কৃতীদের ঔদ্ধত্য বাড়তে থাকে।
বাধ্য হয়ে নিজেই প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষক। তার ফলে ওই শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে অমল রায়ের স্ত্রী এবং মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়। ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও অধরা দুষ্কৃতীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় গভীর উদ্বেগে রয়েছে ওই পরিবার। প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটছে অমলবাবুদের।
এর আগে মেটিয়াব্রুজে মদের ঠেকের প্রতিবাদ করে প্রাণ দিতে হয়েছিল নজরুলকে। আর হাওড়ার বাগনানে কিংবা মালদহের ইংরেজবাজারে দিদিকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হতে হয় ভাইকে। রাজ্যে একটার পর একটা প্রতিবাদী আক্রান্ত হলেও এই বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার।