বিলেত ফেরত গ্রামের ছেলে মেদিনীপুরে তৈরি করলেন আস্ত স্কুল, সঙ্গী ইংরেজ দম্পতি
বিলেত ফেরত গ্রামের ছেলে মেদিনীপুরে তৈরি করলেন আস্ত স্কুল, সঙ্গী ইংরেজ দম্পতি
গ্রামের এক প্রাক্তন ছাত্র, বিকাশ পাল, যিনি এখন লন্ডনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান তার টাকায় ও লন্ডনের এক দম্পতির দেওয়া আর্থিক সহায়তায় দোতলা ঘর তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েক জন আর্থিক সাহায্য করেছেন। তাদের দেওয়া টাকাতে করা হয়েছে লাইব্রেরি, বেঞ্চ ও অন্যান্য জিনিস। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার খড়গপুর দুই ব্লকের মুকশুদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই নবনির্মিত দোতলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলেন হেগ ও তার স্বামী স্টিফেন হেগ। ছিলেন ভারতী সেন, কালীপদ পাহান, মৈত্রেয়ী সামন্ত, পদ্মা নারায়ণ সহ অন্যান্যরা। যারা এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বিকাশ পালের মতো আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা। যিনি অনুষ্ঠান মঞ্চে বসে শুনলেন কি ভাবে এই বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র ও তার চেষ্টাতে অন্যান্যরা এমনকি বিদেশি এক দম্পতি একটি সরকারি স্কুলে ছটি কক্ষ বিশিষ্ট দোতলা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত জানা বলেন, সরকারি প্রকল্পে যা সাহায্য এসেছে তা খুব সামান্য। এই টাকা দিয়ে মিড ডে মিল খাওয়ার রান্নাঘর করা হয়েছে। দোতলা বাড়ি তৈরি করা হয়েছে কুড়ি লক্ষ টাকা দিয়ে। এর মধ্যে আট লক্ষ টাকা দিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দা, এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বিকাশ পাল। তিনি এখন লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের শিক্ষক। তিনি দিয়েছেন আট লক্ষ টাকা। হেগ দম্পতি দিয়েছেন ছ লক্ষ টাকা। এলেন ওই কলেজে লাইব্রেরি বিভাগের কর্মী ছিলেন। বিকাশের কাছে শুনে এই টাকাতে এগিয়ে আসেন তিনি। এই দিন তিনি বলেন যে এই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর সেরা ছাত্র ছাত্রী দের বার্সিক একটি আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে।
এই
দিন
এই
অনুষ্ঠানে
বিকাশ
পাল
নারায়ণ
সাঁতরা
কে
অনুরোধ
করেন
যাতে
এই
স্কুলের
বাউন্ডারি
দেওয়ার
ব্যবস্থা
করা
হয়
তার
পর
স্কুলে
একটি
বাগান
করা
হবে।
আগামী
বছর
থেকে
এই
স্কুলে
পঞ্চম
শ্রেণীর
পঠনপাঠন
শুরু
হবে।
সরকারি
ভাবে
যতটা
করা
সম্ভব
হবে
তা
করা
হবে
জানিয়েছেন
নারায়ণ
সাঁতরা।
এই বিদ্যালয়ে এখন ১৪০ জন ছাত্র ছাত্রী ও পাঁচ জন শিক্ষক আছেন। যে ভাবে লন্ডন নিবাসী এক দম্পতি এই গ্রামের স্কুলের উন্নয়নের জন্য এভাবে এগিয়ে এসেছেন তার জন্য তাদের ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না মুকশুদপুর গ্রামের বাসিন্দারা।