ছ’মাস অপেক্ষা করুন, তারপর থানা জ্বালিয়ে দিন!এবার মমতার প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি সায়ন্তনের
দলের রাজ্যসভাপতি সুর বেঁধে দিয়েছিলেন আগেই, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই গর্জে উঠলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। প্রকাশ্যেই বিজেপি কর্মীদের উসকানি দিলেন।
দলের রাজ্যসভাপতি সুর বেঁধে দিয়েছিলেন আগেই, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই গর্জে উঠলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। প্রকাশ্যেই বিজেপি কর্মীদের উসকানি দিলেন। সবুজ সংকেত দিলেন থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার। তবে তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে বললেন, তারপর অনুমতি ছাড়াই থানায় আগুন দেওয়ার বার্তায় আগুন ছড়ালেন তিনি।
ছ-মাস অপেক্ষা করুন, তারপর ব্যবস্থা
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে দলীয় কর্মী খুনের পর শনিবার তাঁর দেহ নিয়ে এলাকায় মিছিল করে বিজেপি। তারপর থানার সামনে দাঁড়িয়ে পথ সমাবেশে সায়ন্তন বসু পুলিশকে লক্ষ্য করে তীব্র শ্লেষ দাগেন। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনই পুলিশ কিছু বলবেন না। আর ছ-মাস অপেক্ষা করুন। তারপর ব্যবস্থা নেবেন।
থানা জ্বালিয়ে দেবেন, হুঙ্কার সায়ন্তনের
সায়ন্তন বসুও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আর একজন বিজেপি কর্মী বা নেতার গায়ে যদি হাত পড়ে তখন কর্মীরা যা ইচ্ছা তাই করবেন। প্রয়োজেনে থানা জ্বালিয়ে দেবেন। সবুজ সংকেত দিয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক। কেউ এখনই কিছু করবেন না।
সায়ন্তনকে পাল্টা তৃণমূলের
সায়ন্তনের থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকির পরে তৃণমূল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, সায়ন্তন থানা জ্বালাবার আগেই মানুষ সায়ন্তনকে রাজনৈতিকভাবে জ্বালিয়ে দেবেন। তাঁর দাবি, প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদে খুন হয়েছেন ওই যুবক, কোনও রাজনৈতিক কারণে খুন নয়, বিজেপি মরদেহ নি্য়ে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে রাজনীতি করছে।
পুলিশ এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকায় : দিলীপ
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে থানার সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও হুঙ্কার ছাড়েন। তিনি বলেন, তৃণমূলের যাবতীয় হিসেব ২০২১-এই চুকিয়ে দেবেন। কুসুমি গ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশকেই দায়ী করেন তিনি। পুলিশ এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তাঁর।
সমস্ত হিসেব চুকিয়ে দেব ২০২১-এই
বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, আমরা কথা দিচ্ছি প্রতিটা মৃত্যুর ঋণ শোধ করব। সমস্ত হিসেব চুকিয়ে দেব ২০২১-এই। পুলিশ-সহ সমস্ত তৃণমূল দালালদের বুঝে নেওয়া হবে। দাঁতনের কুসুমি গ্রামে বিজেপি কর্মীর মৃতদের নিয়ে মিছিল করে থানার সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পর এক বাক্যবাণ ছাড়েন তিনি।