রাতের অন্ধকারে পোস্টমর্টেম, তাড়াতাড়ি দেহ নিতে চাপ! বিজেপি কর্মী ময়নাতদন্ত নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সায়ন্তনের
রাতের অন্ধকারে পোস্টমর্টেম, তাড়াতাড়ি দেহ নিতে চাপ! বিজেপি কর্মী ময়নাতদন্ত নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সায়ন্তনের
রাতের অন্ধকারে গাজলডোবার বিজেপি (bjp) কর্মী উলেন রায়ের পোস্টমর্টেম হয়েছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (sayantan basu)। তিনি আরও বলেছেন, দলের কর্মীরা তাঁকে জানিয়েছেন, রাতে উলেন রায়ের পরিবারের সদস্যদের পুলিশ তুলে নিয়ে যায় এবং বলে এফআইআর-এ লিখতে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁরা রাতে দেহ নিতে অস্বীকার করেন। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
উলেন রায়ের মৃত্যু
বিজেপি উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল সোমবার। তাতে অংশ নিতে গাজলডোবা থেকে এসেছিলেন রাজবংশী সম্প্রদায়ের বিজেপি কর্মী উলেন রায়। সোমবার দুপুর নাগাদ তিনি হঠাৎই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে উল্লেখ করেন ছররা গুলির সম্ভাবনার কথাও। রাতেই উলেন রায়ের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
রাজ্য পুলিশের দাবি
সোমবার রাজ্য পুলিশ দাবি করেছিল পুলিশ গুলি চালায়নি, লাঠিও চালায়নি। তবে একাধিক টিভি চ্যানেলে পুলিশকে বাড়ির ওপরে উঠে লাঠি চালাতে দেখা গিয়েছে। ( সেই ভিডিও-র সত্যতা পরীক্ষা করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলি)। এদিন সকালে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, উলেন রায়ের মৃত্যু হয়েছে শটগানের গুলিতে। কিন্তু পুলিশের দাবি তারা এই ধরনের গুলি ব্যবহার করেন না। আর শিলিগুড়িতে গুলি চালানো হয়নি। পুলিশের দাবি বিক্ষোভকারীদের কেউ এই ধরনের বন্দুক এনেছিল এবং খুব কাছ থেকেই এই গুলি ছোঁড়া হয়েছে।
অজ্ঞাত পরিচয় দেহ লিখতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ
মৃত উলেন রায়ের পরিবারের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত হয়ে যাওয়ার পর পুলিশের তরফে তাঁদের মুচলেকা লিখতে চাপ দেওয়া হয়। সেখানে নাকি বলা হয়, দেহটি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির। পরিবারের সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে দেহ নিতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি পরিবারের তরফে আরও অভিযোগ, সাদা কাগজে পুলিশের লেখা বয়ানে তাঁদের সই করতে হয়েছে।
বিজেপির ডাকে সকাল থেকে চলছে উত্তরবঙ্গ বনধ
সোমবার উলেন রায়ের মৃত্যু খবর পাওয়ার পরেই উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এদিন সকাল থেকে সেই বনধ চলছে। সকালে শিলিগুড়ি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। জায়গায় জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার ছেঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পথে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
শিলন্যাসের অনুমতি মিললেও এসেছে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ! একনজরে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের ইতিবৃত্ত