বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের মতো পুলিশও 'পেলের গোল' খাচ্ছেন রাজ্যে, ব্যাখ্যা সায়ন্তনের
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের মতো পুলিশও পেলের গোল খাচ্ছেন রাজ্যে, ব্যাখ্যা সায়ন্তনের
হাওডার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে পেলে-মারাদোনার গোলের সঙ্গে তুলনা করলেন সায়ন্তন বসু। রেশন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দরবার করে বিজেপি নেতা বলেন, রাজ্যে পুলিশ ভূমিকা ঠিক নেই। সময় এলেই এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা কেউ রেহাই পাবেন না।
জয়প্রকাশকে পাশে নিয়ে পুলিশের সমালোচনা
রবিবার রাজ্যপালের দরবার থেকে বেরিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাশে নিয়ে পুলিশের সমালোচনা করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, আমরা হাওড়ার টিকিয়াপাড়াতে পেলের গোল দেখেছি। আর জয়প্রকাশদা তো পেলের গোল খেয়েছেনও। তাই এমন পেলে-মারাদোনার গোল এখন রাজ্যে হয়েই চলেছে।
তিনভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে রেশন : সায়ন্তন
সায়ন্তন বলেন, রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাই প্রতিটি এলাকাতেই বিক্ষোভ চলছে। মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন। আর হবে নাই বা কেন। কেন্দ্র চাল ও অন্যান্য শস্য পাঠাচ্ছে। সেই সব কাটিং হয়ে যাচ্ছে রাস্তাতেই। তিনভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
সায়ন্তনের ব্যাখ্যায়, তিন ভাগ কার দখলে
মানুষ তাই ১০ কেজির জায়গায় ৩ কেজি পাচ্ছেন, ৫ কেজির জায়গায় ২ কেজি পাচ্ছেন। কারণ চাল-গম ইত্যাদি রেশনে পৌঁছনোর আগে তিন ভাগ হচ্ছে। একভাগ চলে যাচছে তৃণমূল নেতানেত্রী-কাউন্সিলরদের কাছে। তাঁরা ওই খাদ্যশস্য বণ্টন করে দেবতা সাজছেন। আর একভাগ চলে যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের হাত ঘুরে কালোবাজারিদের কাছে। তা দ্বিগুণ-তিনগুণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বাকি একভাগ রেশনে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি সায়্ন্তনের
সায়ন্তন এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন। তার পাশাপাশি বলেন, তৃণমূল নেতারা যদি বলে থাকেন রাজভবনকে আমরা পার্টির সদর অফিসে পরিণত করেছি, তাহলে বলব মুখ্যমন্ত্রী যদি ডিজি, মুখ্যসচিবদের পাশে বসিয়ে নবান্নকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত করতে পারেন, আমরাও রাজভবনকে সদর অফিস করতে পারি। কিন্তু আমরা তা করছি না।
কবে হবে জয়েন্ট মেন ও নিট পরীক্ষা, শীঘ্রই মন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন দিন