ভোটের পরিমাণের ভিত্তিতে উন্নয়নের বিতর্কিত মন্তব্যে শতাব্দীকে ইসি-র নোটিশ, ক্ষমা চাইলেন শতাব্দী
মহম্মদ বাজার পুলিশ থানার অন্তর্গত চারিচা গ্রামে প্রচার করতে গিয়ে শতাব্দী বলেন, যে এলাকা আমাদের বেশি ভোট দেবে তাদের উন্নয়ন আগে হবে, যে এলাকা আমাদের কম ভোট দেবেন তাঁদের এলাকায় পরে উন্নয়ন হবে। এজন্য জোড়া ফুলে বেশি করে ভোট দিন, তাহলে উন্নয়নের ফলও চোখে তাড়াতাড়ি দেখতে পাবেন।
আর শতাব্দীর এই ভোট পাওয়ার জন্য উন্নয়নের প্রাক শর্তে বিতর্ক তৈরি হয়। শতাব্দীর এই বিতর্কিত মন্তব্য খবরে আসতেই শোকজ নোটিশ পাঠায় কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ ও এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে জবাব দিতে হবে।
'যারা আমাদের বেশি ভোট দেবে তাদের উন্নয়ন আগে,যারা কম ভোট দেবে তাদের উন্নয়ন পরে'
যদিও চিঠি পাওয়ার পর এক ঘন্টার মধ্যেই কোনও দেরী না করেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার সন্ধ্যায়, নির্বাচন কমিশনের শো কজ নোটিশের উত্তরে শতাব্দী স্বীকার করে নেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে একটি গ্রামে প্রচারে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
শতাব্দীর মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ নির্বাচন কমিশনের ভিডিও নজরদারি দলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই ফুটেজ পরীক্ষা করার পরই শতাব্দীকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
শতাব্দী নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেও, বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল শতাব্দীরই পাশে দাঁড়িয়েছেন। শতাব্দীর মন্তব্যের সমর্থনে অনুব্রত বলেন, শতাব্দীর মন্তব্যটি যেভাবে দেখানো হচ্ছে উনি তা বলতে চাননি। শতাব্দী যা বলতে চেয়েছিলেন তা হল, তিনি সাংসদ তহবিলের ২২ কোটি টাকা এলাকার উন্নয়নে খরত করেছেন। তাঁর পূর্ববর্তী সাংসদ তা করতে পারেনি। সেই কারণে ট্র্যাক রেকর্ডের ভিত্তিতে ভোটের আবেদন জানিয়েছিলেন শতাব্দী।
এদিকে শতাব্দীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছে বামফ্রন্ট। সিপিএম নেতা রবীন দেব, কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে শতাব্দীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাঁর অভিযোগ, কোনও নির্বাচন প্রার্থী নিজের কেন্দ্রের ভোট পেতে সেই এলাকার উন্নয়নের মাপকাঠি আগে থেকে ধার্য করে দিতে পারেন না।