বোধহয় জেলেই মরতে হবে! আক্ষেপ সারদা-কর্তার, বাণ হানলেন সিবিআই নিশানায়
আদতে সারদা তদন্তের কোনও অগ্রগতিই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। তাই সিবিআইকে দুষে তাঁর আক্ষেপ, তাঁকে বোধহয় জেলেই মরতে হবে।
নয় নয় করে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন এক জেল থেকে অন্য জেলে ঘুরে চলেছেন। মামলার ফেরে এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ছুটেই চলেছেন। কিন্তু আদতে সারদা তদন্তের কোনও অগ্রগতিই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। তাই সিবিআইকে দুষে তাঁর আক্ষেপ, তাঁকে বোধহয় জেলেই মরতে হবে।
সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ, সিবিআই সারদা তদন্ত নিয়ে ছেলেখেলা করছে। কোনও অগ্রগতি নেই মামলায়। চূড়ান্ত চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। বারাসত আদালতের বিচারক সোমনাথ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, কবে সারদা মামলার চার্জিশিট জমা দেবে সিবিআই। সিবিআই আর কী উত্তর দেবে, তদন্তকারী অফিসারই তো অনুপস্থিত।
বিচারকের প্রশ্নে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁরা জানিয়ে দেবেন, কবে তাঁরা চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেবেন। তা শুনে শুক্রবার আদালত থেকে বেরিয়ে আপেক্ষ করতে দেখা গেল সারদা মামলায় মূল অভিযুক্ত সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনকে। তিনি বলেন, সিবিআই যেভাবে মামলা এগিয়ে নিয়ে চলেছে, তাতে তাঁকে জেলেই মরতে হবে।
আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবীও তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপরই ক্ষুব্ধ বিচারক ভর্ৎসনা করে সিবিআইকে। আদালতের তরফেও তদন্ত তড়িঘড়ি শেষ করে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিনই সারদা মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী মদন মিত্র পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার আবেদন করেন। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, তাঁকে এখনও হাওড়া আদালতে পর্যন্ত হাজিরা দিতে যেতে হচ্ছে।