তৃণমূলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে' কলেজের গেট থেকেই ফিরলেন সরস্বতী! প্রেসিডেন্সির পুজো এবার গেটের বাইরেই
একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' প্রকাশ্যে এসেছে! এবার সরস্বতী পুজোকে নিয়েও গোষ্ঠী কোন্দল।
একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' প্রকাশ্যে এসেছে! যা নিয়ে বারবার শীর্ষ নেতৃত্বকে অস্বস্তির মধ্যেও পড়তে হয়েছে। এমনকি পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে এতটাই চলে যায় যে তা সামলাতে অনেক সময়ে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে বার্তা দিতে হয়েছে। যদিও তাতে যে কোনও কাজ হয়নি তা বারবার প্রমাণ মিলেছে।
এবার শাসকদলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে'র জেরে কলেজের গেট থেকেই ফিরে যেতে হল মা সরস্বতীকে। অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি।
সংঘাত সম্প্রতি ব্যাপক আকার নিয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো! আর সেই উপলক্ষ্যে সর্বত্রই চলছে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততা। স্কুল কলেজে ঠাকুর আনা থেকে শুরু করে সর্বত্র একটা হৈহৈ কাণ্ড। আর সেই পুজোতেও রাজনীতি! হাওড়ার ডোমজুড় আজাদ হিন্দ কলেজ। আর সেই কলেজে তৃণমূল দুই গোষ্ঠী। আর তাঁদের মধ্যে সংঘাত সম্প্রতি ব্যাপক আকার নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার তৃণমূলের এক গোষ্ঠী সরস্বতী ঠাকুর নিয়ে রাজনৈতিক স্লোগান দিতে দিতে কলেজে ঢোকে। আর সেই সময়ে আরেক গোষ্ঠীতে থাকা ছেলে-মেয়েরা আলপোনা দেওয়ার কাজ করছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বাঁধা দেয় বলে অভিযোগ।
কলেজের গেট থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমাটিকে।
আর তা নিয়েই কলেজ চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী প্রথমে বচসা এবং পরে রীতিমত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। কলেজে উত্তেজনা ছড়ায় এই ঘটনায়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আপাতত দু'পক্ষকে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি দুই গোষ্ঠীর ঝামেলার মধ্যে পড়ে যান মা সরস্বতীও! দরজার বাইরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে প্রতিমা। যদিও পরে ঠাকুরটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলেজ চত্বর থেকে। কলেজের গেট থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমাটিকে।
এই অবস্থা দেখে অনেকেই বলছেন, বাংলার শিক্ষার অবস্থা এতটাই খারাপ যে মা সরস্বতীও ঢুকতে চাইছেন না।
ধর্মনিরপেক্ষ ক্যাম্পাস!
অন্যদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরেই এবার সরস্বতী পুজো হচ্ছে। এর আগে ক্যাম্পাসের ভিতরে পুজো হবে বলে জানানো হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে। যদিও আজ টিএমসিপি জানিয়েছে, ক্যাম্পাসের বাইরেই পুজো হবে। পুজো নিয়ে তাঁরা কোনও সংঘাত চান না। আর তাই এই সিদ্ধান্ত বলেই জানানো হয়। অন্যদিকে প্রেসিডেন্সি কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। আর তাই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। আর এই সংঘাতেই বিদ্যার দেবী গেটের বাইরেই পূজিত হবেন বলে খবর।