সারদা: কুণাল ঘোষকে শীঘ্রই হেফাজতে নেবে ইডি, জেরার প্রস্তুতি অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের
রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন সিবিআই-কে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর ভরাডুবির জন্য কিছু রাজনীতিবিদ, মন্ত্রীই দায়ী। কুণাল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরও এমন কথা উঠেছিল। কুণালবাবু বারবার দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীদের আড়াল করছেন। এই কেলেঙ্কারিতে মুকুল রায়, মদন মিত্র জড়িত আছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। এমনও বলেছেন, রাজ্য পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে সব তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে একযোগে ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত চিন্তা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতা-মুকুল-মদনই 'ষড়যন্ত্রী', আদালতে তোপ কুণাল ঘোষের
তদন্তের স্বার্থে দিন দশেকের ভিতর কুণাল ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নেবে ইডি। তাদের আশা, কুণালবাবুই এই কেলেঙ্কারির নানা অজানা দিক তুলে ধরতে পারবেন। ইডি জানিয়েছে, বিধাননগর পুলিশের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত তারা ৩০০ নথি সংগ্রহ করেছে। এগুলিতে রাজ্যের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রীর নাম রয়েছে। তা সত্ত্বেও এতদিন পুলিশ এদের ডাকেনি। এঁরা বিভিন্ন সময় সুদীপ্ত সেনকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। ওই টাকা কেন নিয়েছিলেন, কী কাজে লাগানো হয়েছে ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে ইডি। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পরই কুণাল ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নেবে সিবিআই।
রাজ্য পুলিশ প্রকৃত তদন্তের বদলে নানা বিষয় ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় তারা তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। ফলে সিবিআই রাজ্য পুলিশের সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরও জেরা করতে পারে বলে খবর। প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষ পুলিশের বিভিন্ন কর্তারও বিরুদ্ধে সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন কুণালবাবু।