সারদা কাণ্ডে মদন মিত্রকে তলব করল সিবিআই, অস্বস্তিতে তৃণমূল
শুধু মদন মিত্রই নয়, সিবিআই-এর তরফে ডাক পেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সৃঞ্জয় বসুকে। এর আগে সৃঞ্জয়কে জেরা করেছে এসএফআইও এবং ইডি। সিবিআই-এর তলব প্রসঙ্গে সৃঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, "আমাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি সিবিআই দফতরে যাব।" এদিকে এই একই বিষয়ে মদনবাবু অবশ্য মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, "আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাই এবিষয়ে কিছু বলতে পারব না।" এদিকে সিবিআই-এ তরফে জানা গিয়েছে শুক্রবার মদন মিত্র আসতে না পারলে তদন্তকারীরা হাসপাতালে গিয়ে দেখা করবেন তাঁর সঙ্গে।
সারদা কাণ্ডে আমার যোগাযোগ প্রমাণিত হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেব: মমতা
প্রথম থেকেই সারদা কাণ্ডে নাম উঠেছে মদন মিত্রর। সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষও সারদা কাণ্ডে মুকুল রায়ের পাশাপাশি মদন মিত্রর নাম নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমানে মুকুল ও মদনের পক্ষে সওয়াল তুলে গিয়েছেন। মঙ্গলবার একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁর নিজের যোগাযোগ প্রমাণিত হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
সিবিআই সূত্রের দাবি, মদন মিত্রের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের পরই তলব করা হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য সারদার উত্থান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থেকে। তখন এলাকার বিধায়ক ছিলেন মদন মিত্র। তখন থেকেই সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মদনের। সারদার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মদন মিত্রের টিভি ফুটেজও রয়েছে।
এর আগে পরিবহণমন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিমকে ইতিমধ্যেই একাধিক বার জেরা করেছে সিবিআই। জেরা করা হয়েছে মদন-ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত প্রামাণিককেও। সিবিআই-এর একটি সূত্রের দাবি, এই দু'জনের কাছ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।