দেশজুড়ে লকডাউন, নববর্ষে বসিরহাটের ২০০ মহিলাকে স্যানিটারি ন্যাপকিন দান
দেশজুড়ে লকডাউন, নবর্ষে বসিরহাটের ২০০ মহিলাকে স্যানিটারি ন্যাপকিন দান
উন্নয়নের জন্য লকডাউনে যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়ার একটা সমস্যা তৈরি হবে সেটা স্বাভাবিক। রাস্তায় বেরনোও এখন সঠিক নয়। ঋতুচক্র স্বাভাবিক নিয়মে হয়। তা বোঝে না কোনও লকডাউন। এমন সময়ে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে মহিলারা কারণ অনেক স্থানেই এর জোগান কম। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে সাহায্যে এগিয়ে এল বসিরহাটের একদল মহিলা। দীর্ঘ লকডাউনের করাল থাবায় ইতিমধ্যেই ভাঁড়ার শূন্য হয়েছে বসিরহাট, টাকি ও বাদুড়িয়া পৌর অঞ্চলের বহু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের। একমুঠো অন্ন সংস্থান করতেই নাজেহাল অবস্থা এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির।
এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে আধপেটা অবস্থায় যখন দিন কাটছে আরতী,কাজল,গীতা,ঝর্ণাদের তখন তাঁদের স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ভাবনা মাথায় আসেনা। ইচ্ছে থাকলেও যে উপায় নেই। এরকমই সংকটময় পরিস্থিতিতে তাঁদের হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দিল 'নৃত্যাঙ্গন' এর সদস্যরা। উদ্যোক্তা অমিতা পাঠক জানান বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে বসিরহাট মহকুমার তিনটি পৌর এলাকা অর্থাৎ টাকি, বাদুড়িয়া ও বসিরহাটের দুস্থ পরিবারের প্রায় ১৫০-২০০ জন মহিলার হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হবে।
উদ্যোক্তা জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়, ভারতী দাস, সুপর্ণা সরকাররা জানান, "স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার আমরা চালাই। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ন্যাপকিন কেনা এই সমস্ত মহিলাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই অনেকেই ঋতুচক্রের সময় পুরানো কাপড় ব্যবহার করছেন যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।" ১৪২৭ সালের ১লা বৈশাখ ন্যাপকিনের সঙ্গে তুলে দেওয়া হয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, সোয়াবিন, ডিমের মতো বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিখানা সামগ্রীও।